স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় জট কিছুটা হলেও কাটতে চলেছে। রাজ্য মন্ত্রিসভাতে এই নিয়োগের ব্যাপারে দ্রুত অনুমোদন মিলতে পারে বলে খবর। আসলে মনে করা হচ্ছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় জট কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে কর্মরত শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক স্কোরের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক হিসাবে তিনি কতটা অভিজ্ঞ সেটা দেখা হবে।
সেই সঙ্গেই এবার কেবলমাত্র ওএমআর শিটেই কেবলমাত্র পরীক্ষা দিতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় যাতে কারচুপি করা না যায় তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। তবে তাদের ইন্টারভিউও দিতে হবে। সেখানেও স্বচ্ছতা রক্ষার উপর জোর দেওয়া হবে বলে খবর। সংরক্ষিত আসনে প্রার্থীদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে ছাড়ের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
এদিকে ২০১৮ সাল থেকে নিয়োগ পরিচালনার দায়িত্ব স্কুল পরিচালনা সমিতির কাছ থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে গিয়েছিল। তবে এবার নয়া বিধিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আলাদা করে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। সেক্ষেত্রে পছন্দের প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক পদে বসানো হয়েছে , দলের লোকজনকে প্রধান শিক্ষকের পদ দেওয়া হয়েছে সেই অভিযোগ অনেকটা কমতে পারে।
তবে আঞ্চলিক ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা যথাযথ থাকে না, স্বজন পোষণ করা হয় এমন অভিযোগও ওঠে। তবে এবার সেই অভিযোগ যাতে আর না ওঠে সেকারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চাইছে সরকার। এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একেবারে রাজ্য স্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আর নতুন করে স্থানীয় স্তরে কিছু করার সুযোগ থাকবে না।