নিয়ম ভেঙে ইসি’র বৈঠক করতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। এবার ফিনান্স অফিসার নিয়োগ করা নিয়ে আবার সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারণ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি নির্দেশ রয়েছে। যা নিয়ে ‘খুব বিরক্ত’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিকাশ ভবনের সঙ্গে এই বিষয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এখনও র্যাগিংয়ের জেরে মৃত্যুর ঘটনা সবার মনে আছে। তার উপর উপাচার্যের নানা সিদ্ধান্ত এবং তা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা পরিবেশে অশান্তির সুর বেঁধে দিয়েছে।
এই ফিনান্স অফিসার নিয়োগ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বনাম বিকাশ ভবনের তরজা এখন চরমে পৌঁছেছে। বিকাশ ভবনের দেওয়া নির্দেশকে আইন বিরোধী বলেই দাবি করেছেন উপাচার্য। অবসরপ্রাপ্ত ফিনান্স অফিসারের মেয়াদ বৃদ্ধি কেন? সেটা জানতে চেয়ে বিকাশ ভবনের দ্বারস্থ হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এক্সটেনশন অফ রিটায়ারমেন্ট ফিনান্স অফিসার। বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এটা আইন বিরোধী। আমরা এই চিঠির ব্যাখ্যা চেয়েছি। আমার হাতে শাসনযন্ত্র আছে বলে আমি মাথায় বারি মারব, এটা আইনসম্মত নয়। আমরা তো আইন মেনে কাজ করছি। কোথাও ভুল থাকলে বলে দিক। এসব বরদাস্ত করা যায় না।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? রাজ্য সরকারের নির্দেশ না মেনে ফিনান্স অফিসার নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞাপন দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই নিয়ে উপাচার্যের দাবি, এখন য়িনি ফিনান্স অফিসার আছেন তাঁকে রাখতে চান এক শ্রেণির শিক্ষক ও গবেষক। তাতে তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িয়ে আছে। আর সেই ফিনান্স অফিসারকে এখানে রাখতে মহিলা রেজিস্ট্রারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। রেজিস্ট্রারের ঘরে সিসিটিভি বসানোরও নির্দেশ দিয়েছেন এই ফিনান্স অফিসার। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই ফিনান্স অফিসারকে বিদায় দিয়ে নতুন ফিনান্স অফিসার নিয়োগ করতে চায়। আর তাতেই বেঁধেছে তুমুল গণ্ডগোল।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, ধূপগুড়ি জেতার পর প্রথম পা
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ই একবার এই ফিনান্স অফিসারের এক্সটেনশন চেয়েছিল। সেখানে এখন কেন উল্টো পথে হাঁটছে? প্রশ্ন তুলেছে জুটা। এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘দু’রকম কথা হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার ৭ তারিখ একটা অর্ডার দিয়েছে। তার নাকি ব্যাখ্যা চেয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। আবার নিয়োগের বিজ্ঞাপণও দিয়েছেন। এটা কী করে হয়? যে পদে নিয়োগের জবাবদিহি করতে বলা হচ্ছে, সেখানে নিয়োগের বিজ্ঞাপণ দেওয়া কি যায়?’ তবে উপাচার্যের বক্তব্য, অবসর নেওয়ার পর মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। কীভাবে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।