যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামপন্থীদের নিশানা করার চেষ্টা করছে তৃণমূল ও বিজেপি। এমনই অভিযোগ করলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে SFI-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা সরকার ঘনিষ্ঠ বলে তাদের আড়াল করতে শুধুমাত্র ছাত্রদের ভিলেন সাজানো হচ্ছে।
এদিন সুজনবাবু বলেন, আমাকে ওখানকার ছাত্ররা বললেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ফেসবুক দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের পরিচয় কী। তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট নাম নিয়ে তৃণমূল, বিজেপি বা অতিবামেদের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। এদের দায় ছাত্রদের ওপরে এসে পড়বে কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা যথেষ্ট ভালো। যে বা যারা এই ব্যতিক্রমী অসভ্যতা করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে SFI-এর এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলা হয়, ঘটনার পর এতগুলো দিন কাটলেও রেজিস্ট্রারকে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেল না কেন? তিনি কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তো তাঁর। এছাড়া হোস্টেল সুপারকেই বা জেরা করা হবে না কেন? তিনি কি জানতেন না হস্টেলে প্রাক্তনরা এসে দিনের পর দিন ব়্যাগিং করছে। এদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং সংস্কৃতি বেড়ে উঠেছে।