চলতি আইপিএলে ব্যাটিং তাণ্ডব জারি জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের। শনিবার কোটলায় দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ওপেন করতে নেমে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন অজি তরুণ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি ক্রিস গেইলের ৩০ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড ভেঙে যাবে। যদিও নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া হয় ম্যাকগার্কের।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লি এদিন পৃথ্বী শ-কে বসিয়ে নতুন ওপেনিং জুটি মাঠে নামায়। জ্যাক ফ্রেজারের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন অভিষেক পোড়েল। ফ্রেজার ম্যাচের প্রথম বল থেকে ব্যাট চালাতে শুরু করেন।
লিউক উডের প্রথম ওভারের প্রথম ৩টি বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ফ্রেজার। সেই ওভারে আরও একটি চার মারেন তিনি। দিল্লি প্রথম ওভারে ১৯ রান সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় ওভারে বুমরাহ বল করতে এলে শুরুতেই একটি ছক্কা হাঁকান ম্যাকগার্ক। সেই ওভারে ২টি চারও মারেন তিনি। ২ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৩৭ রান।
তৃতীয় ওভারে নুয়ান তুষারার বলে ৩টি চার মারেন জ্যাক ফ্রেজার। চতুর্থ ওভারে পীযূষ চাওলার দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাকগার্ক। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকান। চলতি আইপিএলে এটি সব থেকে কম বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার যুগ্ম রেকর্ড। ম্যাকগার্ক এক্ষেত্রে নিজের গড়া রেকর্ডই ছুঁয়ে ফেলেন। এর আগে চলতি আইপিএলে দিল্লিতেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৫ বলে অর্ধশতরান করেন ফ্রেজার।
সুতরাং, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে ফের যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি করার নজির গড়েন ফ্রেজার। আইপিএলে তাঁর থেকে কম বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন কেবল যশস্বী জসওয়াল (১৩ বলে) এবং লোকেশ রাহুল (১৪ বলে) ও প্যাট কামিন্স (১৪ বলে)। আইপিএলে ফ্রেজারের মতো ১৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে ইউসুফ পাঠান, সুনীল নারিন ও নিকোলাস পুরানের।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ৮৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। ২৭ বলের ধুমধাড়াক্কা ইনিংসে ম্যাকগার্ক ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। সুতরাং, মাত্র ১৬ রানের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন অজি তারকা।
উল্লেখ্য, আইপিএল তথা টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে কম ৩০ বলে সেঞ্চুরি করার বিশ্বরেকর্ড রয়েছে ক্রিস গেইলের নামে। ফ্রেজারের সামনে সুযোগ ছিল সেই রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার। তিনি আউট হয়ে বসায় গেইলের রেকর্ড বেঁচে গেল বলা যায়।