এসএসসিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৫০২ দিন ধরে মেয়ো রোডের পাশে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অথচ সেই আন্দোলনে সামিল না হয়ে অনেকেই বাড়িতে রয়েছেন। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘বাড়িতে বসে আন্দোলন করা যায় না।’
গতকাল মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কতজন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনে বসে রয়েছেন? তখন মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতকে জানান, সেখানে বর্তমানে ১৩০ জন বসে রয়েছেন। তবে সব মিলিয়ে ৫৩০ জন রয়েছেন। তখনই বিচারপতি জানতে চান তাহলে বাকিরা কোথায় রয়েছে? এর উত্তরে মামলাকারীদের আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, বাকিরা বাড়িতেই রয়েছেন তখনই বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে এর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘একজন বাড়ি থেকে আন্দোলন করবেন। পরে পেনশনের জন্য আবার আদালতে আসবেন। তা হয় না।’ মামলাকারীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, ‘আমি বঞ্চিত অথচ আমি আন্দোলনে নেই। তাহলে আদালত কেন তাদের আবেদনের সাড়া দেবে।’
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি মামলা অনেকটাই ত্বরান্বিত হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে। চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের সাড়া দিয়ে সিবিআই তদন্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অবস্থায় আন্দোলন নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়ে আন্দোলন হয় না। আমি বিচার ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করছি। আমি সমালোচিত হয়েছি। আরও সমালোচিত হতে রাজি। কিন্তু, যারা ভুক্তভোগী তাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।’