মানুষ যাতে সহজেই নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু হয়েছিল। প্রতিদিন ‘দিদিকে বলো’-য় কয়েকশো মানুষ নিজেদের অভিযোগ জানান। সেক্ষেত্রে কলকাতার মধ্যে পুলিশ সংক্রান্ত কোনও বিষয় থাকলে নবান্ন থেকে পাঠানো হয় লালবাজারে। এবার ‘দিদিকে বলো’য় অভিযোগের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এ ব্যাপারে সমস্ত থানাকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘দিদিকে বলো’-য় কোনও অভিযোগ আসলে তা গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আসছে দ্বিতীয় দফার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি, উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী
সম্প্রতি মাসিক অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিষয়ে লালবাজারে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সমস্ত থানার ওসিদের এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি দ্রুত ‘দিদিকে বলো’ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণত নবান্ন থেকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রথমে লালবাজারে পাঠানো হয়। তারপর সেটি কোন থানা এলাকার মধ্যে পড়ছে, তা দেখে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অফিস মারফত সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ পাঠানো হয়।
যদিও পুলিশ আধিকারিকদের মতে, এমনিতেই প্রথম থেকে ‘দিদিকে বলো’ থেকে পাওয়া কোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট থানার কোনও একটি অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর অভিযোগ খতিয়ে দেখে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। এরপর রিপোর্ট ডিভিশনের এসির কাছে প্রথমে পাঠানো হয়। তাতে তিনি সন্তুষ্ট না হলে পুনরায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। এরপরে তিনি রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট হলে সেটি লালবাজারে পাঠানো হয়।
তবুও অভিযোগ উঠেছে অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়গুলিকে ঠিকমতো খতিয়ে দেখছে না থানা। যার ফলে অভিযোগকারী সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই ধরনের অভিযোগ যাতে না ওঠে তার জন্য কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সব থানাগুলিকে সতর্ক করেছেন। বলা হয়েছে, কোনও অফিসার অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা খতিয়ে দেখে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। তার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা অভিযোগকারীকে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ‘দিদিকে বলো’য় পাওয়া অভিযোগের সমস্যার সমাধানে নবান্নের তরফেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মাসখানেক আগেই নবান্নের তরফে সমস্ত জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত তার নিষ্পত্তি করতে হবে। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে হবে।