আজ শনিবার মহাষষ্ঠী। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা গোটা রাজ্যবাসী। কিন্তু, এবারও সেই আনন্দে সামিল হওয়ার ভাগ্য ওদের হল না। অধিকার আদায়ের দাবিতে আজও গান্ধীমূর্তির পাদদেশের আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। প্রকৃত যোগ্যরা চাকরি পায়নি। অধিকার আদায়ের জন্য এখন পুজোর আনন্দ বাদ দিয়ে তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। যারফলে অনেক আন্দোলনকারীর চোখেই আজ জল চলে আসে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পর এসএসসির আন্দোলনরত সেই চাকরিপ্রার্থীদের এবার পুজোর সময় ধরনা মঞ্চ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর অনুরোধ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে, বিরোধীরা আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাইছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
SSC: কোথায় পুজো? ষষ্ঠীতেও রাস্তায় বসে আন্দোলনকারীরা,অঝোরে কান্না
আজ শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ আন্দোলনরত প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, নিয়োগের বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন সবরকম ভাবে প্রস্তুত। আদালতের নির্দেশ পেলেই তারা কাজ শুরু করে দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে পুজোর পরে নিয়োগ শুরু হতে পারে। এখন শুধু আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা।’ এ কথা বলে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের পুজোর সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসু চাকরিপ্রার্থীদের অনুরোধ করেছিলেন পুজোর সময় বাড়ি ফিরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করার জন্য।
এদিন কুণাল ঘোষ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এই অনুরোধ করার পাশাপাশি বিরোধীদেরও কটাক্ষ করেন। বিরোধীরা চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চ ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাইছে বলে আন্দোলনকারীদের বার্তা দেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এই জট কাটাতে চাইছেন। এ বিষয়ে তিনি অত্যন্ত সংবিধানশীল। কিন্তু বিরোধীরা চাইছে না কোনওভাবেই এই জট কাটুক। তারা চাইছে প্রার্থীদের আন্দোলনের মঞ্চ থাকুক। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাক। কারণ তারা এই মঞ্চ ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দ্রুত নিয়োগের পক্ষে।’ এ কথা বলে তিনি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি হস্তক্ষেপ করেছেন। কিন্তু তাই নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করেছে।’ এখন প্রার্থীরা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।