রাজনৈতিক ময়দানে এই দুটি দল একে অপরের প্রতিপক্ষ। ২০১১ সালে এই দলকেই হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরাজিত হয়েছিল সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার। তারপরও এবার কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে সৌজন্য দেখালেন বামফ্রন্ট কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব। বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের সমর্থনে হাত তুলে সমর্থন করলেন ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব। সৌজন্যের নজির দেখল কলকাতা পুরসভা।
ঠিক কী ঘটেছে পুরসভায়? আজ, শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচন ছিল। সংশ্লিষ্ট বরোর চেয়ারম্যান হিসেবে জুঁই বিশ্বাসের নাম আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমেই চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। এই বরোর অধীনে ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। এখানে শুধুমাত্র ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব বিজয়ী হন। তিনি সমর্থন করেছেন, বয়কট করেননি। এই বিষযে তিনি বলেন, ‘বয়কট করে কোনও উন্নয়ন সম্ভব নয়। সৌজন্যের খাতিরেও আমি জুইঁ বিশ্বাসকে সমর্থন জানিয়েছে। আমার বিশ্বাস কাজের ক্ষেত্রে বরো চেয়ারম্যান কোনওরকম দল দেখবেন না।’
এদিকে ৫ নম্বর বরোর নির্বাচনে বিজেপি–কংগ্রেস বয়কট করেছে। সেই পথ অনুসরণ করেননি মধুছন্দা। এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহল অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট এবার ভাল ফল করেছে। একদিকে ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে। অন্যদিকে বহু ওয়ার্ডে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বামফ্রন্ট। দুটি আসনও তারা পেয়েছে। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে এই সমর্থন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি এখন সব জায়গায় বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি করছে। যে কারণে বয়কট করেছে। যিনি চেয়ারম্যান হন তিনি কোনও দলের সংকীর্ণতায় আবদ্ধ থাকেন না। বিজেপি সেটা কোনওভাবেই বুঝতে পারছে না। মধুছন্দা দেব চারবারের কাউন্সিলর। তিনি নিজে বুঝতে পেরেছেন, রাজনীতি দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি নজির স্থাপন করলেন।’