দীর্ঘ বিতর্ক পেরিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। এই অধিবেশন পর্ব আহ্বান করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে সর্বদলীয় বৈঠকের ডেকেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ‘বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি’র (বিএ) বৈঠক হবে। যদিও দু’টি বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
কেন এই বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও কথা শোনা হয় না। একাধিক ইস্যুতে মতপার্থক্য তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া একের পর এক নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে বলে ওখানে নানা কথা উঠতে পারে। তাছাড়া বিরোধীদের মর্যাদা যেখানে নেই সেখানে এক টেবিলে বসে চা–খাওয়ার সৌজন্য মানায় না।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মুকুল রায়কে জোর করে পিএসি চেয়ারম্যান পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমবারের সর্বদল এবং বিএ কমিটির বৈঠকে গিয়েছিলাম। বিধানসভা কর্তৃপক্ষ এখনও পিএসি’র চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে রেখে দিয়েছেন। তাই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা খেতে চাই না। যতদিন মুকুল ওই পদে থাকবেন, ততদিন আমরা বিধানসভার কার্যবিবরণী সংক্রান্ত বৈঠকে যাব না।’
সদ্য কাঁথির ঐতিহ্য হারিয়েছেন অধিকারী পরিবার। পুরসভা নির্বাচনে নিজেদের গড় কেউ ধরে রাখতে পারেননি। সাংসদ থেকে বিধায়ক কেউই গড় ধরে আখতে পারেননি। একুশের নির্বাচনের পর থেকে হারের মুখই দেখছে বিজেপি। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে বিজেপি নেতারা ছাড়েননি। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে দাঁড়াতে চাইছেন না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।