বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Madyamik Merit List 2023: ছিলেন তৃতীয় হলেন দ্বিতীয়, ১৪তম হয়ে গেলেন নবম, স্ক্রুটিনিতে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় বিরাট বদল

Madyamik Merit List 2023: ছিলেন তৃতীয় হলেন দ্বিতীয়, ১৪তম হয়ে গেলেন নবম, স্ক্রুটিনিতে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় বিরাট বদল

মাধ্যমিকের ফলাফলের সস্ক্রুটিনি  ফলাফল ঘোষণা হল। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)

মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছিলেন মাহির হাসান। তিনি মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্য়ামন্দিরের ছাত্র ছিলেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯০। তিনি স্ক্রুটিনির পরে তার নম্বর এক নম্বর বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৬৯১। আর তিনি হয়ে গেলেন দ্বিতীয়।

ওএমআর শিট রদবদলের ঘটনার কথা শুনেছেন। কিন্তু মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এত বড় বদলের কথা কোনও দিন শুনেছেন? সেটা আবার ৬ জনের মেধাতালিতায় স্থান অদলবদল হয়ে গিয়েছে। আর সবটাই স্ক্রুটিনির খেলা।

৩০ জুন। মাধ্যমিকের ফলাফলের সস্ক্রুটিনি পরে নতুন করে ফলাফল ঘোষণা হল। আর তা দেখেই তো চক্ষু চড়কগাছ। সেখানে নম্বর বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে মেধাতালিকাও অদলবদল হয়ে গিয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ একধাপ পেছনে ছিলেন এক পড়ুয়া। তিনি দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছেন। মেধাতালিকায় আগে ছিলেন না। অথচ তেমন চারজন প্রথম দশজনের তালিকায় চলে এলেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্য়ায় এই তথ্য় দিয়েছেন।

মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছিলেন মাহির হাসান। তিনি মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্য়ামন্দিরের ছাত্র ছিলেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯০। তিনি স্ক্রুটিনির পরে তার নম্বর এক নম্বর বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৬৯১। আর তিনি হয়ে গেলেন দ্বিতীয়। অর্থাৎ এবার মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর সংখ্যা দাঁড়াল তিনজন। মেধাতালিকার বাইরে ছিলেন চারজন। তারাও স্ক্ুটিনির পরে মেধাতালিকায় প্রথম দশজনের মধ্য়ে চলে এসেছেন।

এবার বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র প্রানীল যশ ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। তাঁর এক নম্বর বেড়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি এবার পঞ্চম স্থানে চলে এসেছেন।

কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপাস স্কুলে অঙ্কন নন্দীর দু নম্বর বেড়েছে। তিনি ছিলেন দ্বাদশ। এবার তিনিই হলেন দশম। সেই সঙ্গেই নচিন্দা জেকে হাইস্কুলের অনুদীপা দাসও দ্বাদশ থেকে দশমে চলে এসেছেন। রামভোলা হাইস্কুলের দীপময় বসাক। খাতা পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁরও ২ নম্বর বেড়ে গিয়েছে। তিনি একাদশ থেকে নবমে চলে এসেছেন। তবে সবথেকে বড় কথা বাঁকুড়া জিলা হাইস্কুলের প্রীতম দাস। তিনি ছিলেন ১৪ তম স্থানে। মেধাতালিকায় একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে খাতা ফের মূল্যায়ন করতেই ৫ নম্বর বেড়ে গেল তার। তিনি ১৪ তম স্থান থেকে একেবারে নবম স্থানে চলে এলেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর এখন ৬৮৪।

এখানেই প্রশ্ন মেধাতালিকায় বা তার ধারে কাছে যারা রয়েছেন তাঁদের খাতা দেখার ক্ষেত্রে কেন সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া হয় না? তাহলে এভাবে মেধাতালিকায় নাম না থাকার সাময়িক যন্ত্রণাটা তাদের ভোগ করতে হত না।এর দায় কার?

এদিকে পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ আর পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি করা হয়। দেখা যাচ্ছে পিপিআরে ৭৫৭৪ এর মধ্য়ে নম্বর বদলেছে ৬১২টি খাতার। আর পিপিএসে ৯৩ হাজার ৪৮৯টি খাতার মধ্য়ে ৮০৩১ জনের নম্বর বদলেছে।

 

বন্ধ করুন