যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পথে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিং মুক্ত করার দাবিতে ‘যাদবপুর বাঁচাও’–এর ডাক দিয়ে গতকাল বিজেপির ছাত্র সংগঠন, যুব মোর্চা মিছিল করে। কিন্তু, সেই মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। এবিভিপির মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। সেই ঘটনায় কয়জনকে আটক করে পুলিশ। সেই সময় মহিলা সদস্যদেরও প্রিজন বলে তোলা হয়। অভিযোগ উঠেছে, মহিলা পুলিশ ছাড়াই পুরুষ পুলিশকর্মীরা তাঁদের প্রিজনভ্যানে তুলেছে। তাই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলাদের হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুরুষ পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জোড়া গেরুয়া মিছিলে সরগরম যাদবপুর, শুভেন্দু বললেন, ডান্ডা আরও মোটা হবে
টুইটারে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন, একজন পুলিশ পুলিশ কীভাবে মহিলাদের সঙ্গে এরকম ভাবে আচরণ করতে পারে? তার প্রশ্ন, ‘এই জঘন্য কাজকে কি একজন নারীর শালীনতাকে অবমাননা করা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়? শুভেন্দু লেখেন, ‘বিজেপির যুব মোর্চার আন্দোলনে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে পুলিশ দিয়ে তাদের আন্দোলনকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপির আন্দোলন গতি পেয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশ বেপরোয়া আচরণ করেছে। তবে নারীদের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এইসব পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, যাদবপুর বাঁচাও কর্মসূচির ডাক দিয়ে গতকাল গোলপার্ক থেকে যাদবপুর পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং বিজেপির যুব মোর্চা বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিং মুক্ত করার দাবি জানিয়ে এবিভিপির পরিকল্পনা ছিল যাদবপুর এইট বি পর্যন্ত মিছিল করার। সেই মতো তারা গোল পার্কে জমায়েত করেছিল। কিন্তু, ব্যারিকেড দিয়ে তাদের রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। তাদের মিছিলকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে এবিবিপি সমর্থকদের। এমনকী হাতাহাতিও বাঁধে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। টুইটারে শুভেন্দুর শেয়ার করার ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এবিভিপির সমর্থক এক তরুণীকে টেনে প্রিজন ভ্যানে তুলছে পুলিশ। সেই ঘটনায় শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন এবিবিপির মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শেষমেষ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, এই মিছিলের পরে গোলপার্ক থেকে যাদবপুর পর্যন্ত আরও একটি মিছিল করে বিজেপি যুব মোর্চা। তাতে নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ আরও অনেকে। তবে সেই মিছিলে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।