বেড পেতে হয়রানি। এটা রাজ্যের হাসপাতালগুলির একেবারে রোজকার ছবি। বেডের জন্য এক হাসপাতাল থেকে অপর হাসপাতালে ছুটে বেড়াতে হয় সাধারণ মানুষকে । তারপরেও বেড মেলেনা। তবে সেই সংকটের দিন মনে হয় এবার শেষ হতে চলেছে। পুরোপুরি না হলেও কিছুটা স্বস্তির খবর। বড় উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইসোলেশনের পাশাপাশি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রোগীদের রাখার জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করছে সরকার। যে জেলাগুলিতে হাসপাতালে এই অতিরিক্ত বেড রাখা হবে সেই জেলাগুলি হল বাঁকুড়া, বসিরহাট,দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, মালদা, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পুরুলিয়াতে এই অতিরিক্ত বেড সংযুক্ত হবে। এর জেরে জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালে যে বেডের আকালের কথা বলা হয় সেটা এবার কমবে। এর জেরে স্বস্তি পাবেন প্রচুর রোগী। সব মিলিয়ে রাজ্যের ৫৬টি হাসপাতালে এই অতিরিক্ত বেডযুক্ত ওয়ার্ডের সূচনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা।
এদিকে একাধিক জেলাতে একেবারে উন্নত চিকিৎসার জন্য ও সংকটজনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিসিইউর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই হাসপাতালগুলির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.১২ কোটি টাকা। সেই হাসপাতালগুলি হল কোচবিহারের দিনহাটা, মাথাভাঙা, হুগলির শ্রীরামপুর, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মেদিনীপুরের খড্গপুর, মুর্শিদাবাদের কান্দি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, মেটিয়াবুরুজ, বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এই উন্নত সিসিইউ ব্যবস্থা কার্যকরী করা হল।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা যাতে রাজ্যবাসী ঠিকঠাক করে পান সেব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এনিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বর্তমান সরকারের আমলে ঝা চকচকে হাসপাতাল বিল্ডিং হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা নিয়ে এখনও নানা ক্ষোভ। এদিকে নিম্নবিত্ত বা মধ্য়বিত্তদের পক্ষে বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে মুখ্য়মন্ত্রীর কথায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।