একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে গায়ক কবীর সুমনকে ফোন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছরই মঞ্চে উপস্থিত থাকেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী। আগে কয়েকবার ছিলেন সুমনও। কিন্তু গত বছর তাঁকে দেখা যায়নি। এবার নচিকেতা তো থাকছেনই। তাঁর সঙ্গে দেখা যেতে পারে কবীর সুমনকেও।
সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে আসার জন্য কবীর সুমনকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ফোন করে আমন্ত্রণ জানান। তাই এবার একশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যেতে পারে নচিকেতা ও সুমনকে।
(পড়তে পারেন। ‘কাল থেকে তো ভয়ে থর থর করে কাঁপছে!’ জোট প্রসঙ্গে বিজেপিকে পাল্টা মমতার)
এমনিতে সুমন বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে গত বছর মালবাজারে প্রাকৃতি দুর্যোগে মৃত্যুর পর রোড কার্নিভাল করার প্রতিবাদে সরব হন সুমন। এই আয়োজনের তীব্র নিন্দাও করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু নিজে ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাই মনে করা হচ্ছে সুমন একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে থাকতে পারেন।
লোকসভা ভোটের আগে একুশে জুলাইয়ের এই সমাবশে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বেঙ্গুলুরুতে ২৬ বিরোধী দলের বৈঠকের পর তৈরি হয়েছে জোটের মঞ্চ। তার তিনদিন পর এই সমাবেশ। তাই সভার মূল সুর বাঁধা থাকবে গেরুয়া শিবিরের বিপক্ষে তা বলাই যেতে পারে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমএ দলীয় কর্মীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘কাল থেকে তো ভয়ে থর থর করে কাঁপছে বিজেপি।’
সেক্ষেত্রে কবীর সুমন বরাবরই নিজের বিজেপি বিরোধী অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তাই সভা মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি আলাদা মাত্রা আনবে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বে। আর সে কারণেই, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে আমন্ত্রণ জানিছেন গায়ককে।
সমাবেশে যোগ দিতে বুধবার সকালেই উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে কর্মীর কলকাতায় এসেছেন। কর্মীদের থাকার জন্য বিভিন্ন অস্থায়ী শিবিরগুলি বুধবার ঘুরে দেখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার। যদিও গতবারের সমাবেশ চলাকালীনও বৃষ্টি হয়। এবার বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাস্তায় যাতে জল না জমে তার জন্য কলকাতা পুরসভার কর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ করেছেন।