দিল্লির উদ্দেশে উড়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজধানীতে পাঁচদিন থাকার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছেন মুকুল রায়। এই সফরে দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মমতার। বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশ দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই আবহে দিল্লিতে পা রাখার আগেই মমতাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কী হয় দিল্লিতে, গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে সেদিকেই। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল তিনটে চল্লিশের বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন মমতা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ফেরার কথা ৩০ জুলাই।
২০২৪-কে পাখির চোখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এটা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। প্রথমে ২৮ জুলাই, বুধবার তাঁর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে বৈঠকের সূচি বদলেছে। আগামিকাল তিনি দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে। রাজ্যের দাবি-দাওয়া, রাজ্যের বকেয়া কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথা হতে পারেন। পাশাপাশি যেভাবে বাংলার বুকে করোনা টিকার আকাল শুরু হয়েছে তাতে এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারেন তিনি।
এরপর বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখআ করবেন মমতা। মোদীর বিরুদ্ধে সাজাতে শুরু করবেন ঘুঁটি। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী ছাড়াও মমতা দেখা করতে পারেন সংসদে থাকা বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সঙ্গে। দেখা করবেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল সঙ্গে। ইতিমধ্যেই তিনি বিরোধী দলগুলোকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন। ২০২৪-এর জন্য এখন বসে না থেকে জোটবদ্ধ ভাবে মানুষের ইস্যুগুলোকে নিয়ে পথে নামতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় দিল্লি সফরে গিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।