প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভরত কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি থেকে উদ্বুদ্ধ পরিস্তিতিতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর জন্য একেবারে ‘মোদী সরকারের উদাসীনতা আর অসংবেদনশীলতা’–কেই দায়ী করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কৃষকদের ওপর রীতিমতো নির্যাতন করছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার একটি টুইটে এ ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লির রাস্তায় উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক ঘটনাগুলি দ্বারা গভীরভাবে বিরক্ত, চিন্তিত। আমাদের কৃষক ভাই ও বোনদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাব এবং উদাসীনতাকেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’
বরবারই কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধীতা করে এসেছেন মমতা। এর আগে সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে মমতার নির্দেশে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কয়েকজন কৃষক নেতার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এদিন টুইটেও কৃষি আইনের বিরোধীতা করেন মমতা।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমত, এই আইনগুলি কৃষকদের আস্থা বা পরামর্শ না নিয়েই পাস করা হয়েছিল। সারা দেশ জুড়ে এর প্রতিবাদ চলছে এবং গত ২ মাস ধরে দিল্লির কাছে অস্থায়ী শিবির করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। আর এত কিছুর পরও বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে আলোচনাতেও উদাসীন কেন্দ্রের সরকার।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘কঠোর’ জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। এবং তাঁর আবেদন যাতে দ্রুত কৃষকদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এদিনের ঘটনাকে ঘিরে ১ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫ পুলিশকর্মী।
এদিকে, বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যার নামার পরও বিক্ষোভ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসে পরিস্থিতি। দিল্লিতে বাড়তি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি ‘প্রকৃত’ চাষিদের দিল্লি ছেড়ে বিক্ষোভস্থলে ফিরে আসার আর্জি জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।