নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গ্রেফতারিতে কলকাতায় করোনা মোকাবিলায় সমস্যা হচ্ছে বলে নবান্নে দাবি করেছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে সেই ফিরহাদের বাড়িতে ঢুঁ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বস্ত করলেন, যে করেই হোক ফিরহাদকে বার করে আনবেন তিনি। কিন্তু এই নিয়ে চাপ তাঁর ওপরেও রয়েছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেতলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যান মমতা। সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট কাটান তিনি। ফিরহাদের কন্যা সাবার সঙ্গে কথা হয় তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি ববিকে জেল থেকে বার করবোই। ববি বেল পাবেই। ওকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। ওর অনুপস্থিতিতে কলকাতায় করোনা মোকাবিলায় খুব সমস্যা হচ্ছে।’ এর পরই সাবাকে পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেন মমতা। বলেন, সবাই যেন ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করেন।
আইনজ্ঞদের মতে, ফিরহাদ হাকিম-সহ ৪ জনের গ্রেফতারির বিরোধিতা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পদক্ষেপকে হাতিয়ার করেছে সিবিআই। সোমবার ফিরহাদদের গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা পর বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সটান সিবিআইয়ের ডিআইজির অফিসের সামনে গিয়ে তিনি বলেন, ফিরহাদদের বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। হয় তাদের মুক্তি দেওয়া হোক, নইলে আমাকে গ্রেফতার করা হোক। এর পর ঠায় ৬ ঘণ্টা সেখানে বসে থাকেন মমতা।
রাতে ফিরহাদদের জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই মমতার এই পদক্ষেপকে হাতিয়ার করে। তাদের তরফে সওয়াল করা হয়, আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সিবিআই দফতরে ধরনা দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এতেই বোঝা যায় অভিযুক্তরা কতটা প্রভাবশালী। এমনকী এই ঘটনার জন্য নারদ মামলায় মমতাকে পক্ষ হিসাবে সংযুক্ত করেছে সিবিআই। আইনজ্ঞদের মতে, তাঁর কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় ফিরহাদদের বিপদ বেড়েছে বুঝে এখন বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছেন মমতা।