বাম আমলে চিটফান্ড খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই চিটফান্ড সংস্থাটি ছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ভাগ্নে বিজয় নাগের। এই অভিযোগে আগেও মামলা হয়েছে আদালতে। তবে তদন্ত বেশিদূর এগোয়নি। তাই সম্প্রতি টাকা ফেরত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আমানতকারীরা।
বিরাটি থেকে গ্রেফতার ৪, নয়া তথ্য পেয়েই কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি CBI-এর
মামলাকারী প্রণতি মুখোপাধ্যায়, অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ ওই সংস্থায় ফিক্সড ডিপোজিট রাখলে মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়ে কমপক্ষে ৩০ হাজার আমানতকারী ওই সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন। কেউ ৩০ হাজার, কেউ এক লক্ষ আবার কেউ ২ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, এর মধ্যে আমানতকারীদের কয়েকজন তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে পারেন সংস্থার কোনও আইনি বৈধতা নেই। তা সত্ত্বেও সে তথ্য গোপন করে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে।আমানতকারীদের বুঝতে দেরি হয়নি যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারপরে তারা প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন। এই মামলার তদন্ত করছিল সিআইডি।
কিন্তু, তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় আমানতকারীরা নিম্ন আদালতে মামলা করেছিলেন। তারপরেও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় তারা এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতোই রিপোর্ট দিয়েছিল সিআইডি। টাকা ফেরত চেয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীরা। পুজোর অবকাশকালীন বেঞ্চের পর আগামী দিনে এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে।