প্রথমবার রুবি ছাড়িয়ে বেলেঘাটার দিকে ছুটল মেট্রো। বুধবার নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার অংশে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রো চালানো হয়। যে অংশে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গের পরিদর্শন চলবে। আর তিনি যদি এখনই রুবি-বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশকে ছাড়পত্র দেন, তাহলে কবে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী জুলাইয়ে ওই অংশে পরিষেবা চালু করা হতে পারে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হলেও আপাতত কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হয়ে গেলে ৩২ কিলোমিটারের নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর করিডরের (কলকাতা মেট্রোর দীর্ঘতম করিডর) মোট ৯.৯ কিমি অংশে মেট্রো ছুটবে। সেক্ষেত্রে যে কোনও যাত্রী মেট্রো পথে দক্ষিণেশ্বর বা হাওড়া ময়দান থেকে বেলেঘাটায় (মেট্রোপলিটন) চলে আসতে পারবেন।
এমনিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) গত ১৫ মার্চ নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হয়েছে। তারপরই মেট্রোকে বেলেঘাটা (মেট্রোপলিটন) পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে। রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো চালানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় যে সমস্যা ছিল, সেটা কেটে গিয়েছে। ১৬৬ নম্বর এবং ১৬৭ নম্বর স্তম্ভ জুড়ে ফেলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডে (আরভিএনএল)।
নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো স্টেশন
১) কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া)।
২) সত্যজিৎ রায়।
৩) জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর)।
৪) কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)।
৫) হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)।
৬) ভিআইপি বাজার বা টেগোর পার্ক।
৭) ঋত্বিক ঘটক (পঞ্চান্নগ্রাম)।
৭) বরুণ সেনগুপ্ত (সায়েন্স সিটি)।
৮) বেলেঘাটা।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রো এবার ছুটবে বিমানবন্দর পর্যন্ত, দুর্গাপুজোর আগে চালুর সম্ভাবনা
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গেলে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ বাসে করে ওই অংশটা আসতে যতটা সময় লাগে, তার থেকে অনেকটা কম সময়ই মেট্রোয় চলে আসতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মানুষ মেট্রো ব্যবহার করবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।