২১শের নির্বাচনের ঠিক আগে গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে একের পর এক সিনেমার ডায়ালগ বলা শুরু করেন তিনি। রুপোলি পর্দার সেই চমকপ্রদ ডায়ালগ শোনার জন্য আর মহাগুরুকে একঝলক দেখার জন্য ভিড় একেবারে উপচে পড়ে সভাগুলিতে। আর সেই ভিড়ে ঠাসা সভাতে মিঠুনের মুখে শোনা গিয়েছিল সেই পরিচিত ডায়ালগ, ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে...’ তুমুল হাততালিতে উদ্বেলিত হয়েছিল মিঠুনের সভা। তবে কিছু ডায়ালগ তিনি আকারে ইঙ্গিতেও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মিটতে সেই ডায়ালগই যে এখন মহাগুরুর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে তা বোধ হয় তিনিও বোঝেননি। গত ৬ই মে মানিকতলায় থানায় এনিয়ে মামলা হয়। হিংসা ছড়ানো, শান্তি নষ্টের চেষ্টা সহ বিভিন্ন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাজনৈতিক প্রচার মঞ্চ থেকে কেউ এরকম কথা বলতে পারেন কি না এনিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এবার সেই অভিযোগ খারিজ করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
তবে মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি, ভক্তদের অনুরোধে কেবল বিনোদনের জন্যই তিনি এই ধরণের মন্তব্য করেছিলেন। এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক চরিতার্থতা নেই। কিংবা হিংসাও নেই। কিন্তু কেবল একটি ডায়ালগ নিয়ে এমন রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি হবে তা আঁচও করতে পারেননি মহাতারকা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে মিঠুনের ভক্তদের অনেকেরই দাবি, বিগত দিনে তৃণমূলের ছাতার তলাতেই তিনি ছিলেন। এদিকে ২১শের মহারণের ঠিক আগে মহাগুরু ভিড়ে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। এরপর নির্বাচনী মঞ্চ থেকে তাঁর একের পর এক ডায়ালগ কার্যত বিপাকে ফেলেছে মিঠুন চক্রবর্তীকে।