আইনি জট কেটে গিয়েছে। এবার ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বা নিয়োগ পত্র দিতে চলেছে। এই আবহে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যেতেই রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতরগুলিতে শূন্যপদের হিসাব করতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হতে চলেছে। এটা দেখে অনেকে মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিপুল নিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আজ, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে নবান্নে। সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া রাজ্য বাজেটের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক হতেই পারে। কারণ এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সব জেলার জেলাশাসক এবং সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। সেখানেও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। তাই জেলাশাসকরা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেবেন। একাধিক দফতরের বিভাগীয় প্রধানরা অনেকে নবান্নে থাকবেন। আর বাকিরা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে।
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিবের ডাকা বৈঠকের মূল দুটি অ্যাজেন্ডা আছে। এক, ২০১১ সাল থাকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলায় সরকারি পদে কর্মসংস্থানের অবস্থা কী? স্থায়ী ও ঠিকা কর্মী মিলিয়ে কতজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা গিয়েছে। দুই, একাধিক শ্রেণির পদে এখন কত শূন্যপদ আছে? এই দ্বিতীয় প্রশ্নটিই আজকের বৈঠকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই শূন্যপদেই নিয়োগ হবে। নবান্নের এক অফিসারের কথায়, রাজ্যে পরবর্তী সব নিয়োগে কঠোর স্বচ্ছতা রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফায়ার সার্ভিসে এবং পঞ্চায়েতে প্রায় ৭ হাজার নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হতে পারে এখন শূন্যপদগুলিতে আরও স্থায়ী এবং ঠিকা কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: হাফিজ সৈয়দের দল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে! মারকাজি মুসলিম লিগের প্রার্থী কারা?
আর কী জানা যাচ্ছে? সম্প্রতি এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষায় বিপুল নিয়োগ হতে চলেছে। প্রচুর শূন্যপদ আছে। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে মামলা করে যে বিলম্ব হচ্ছে, তার জন্য বামেদের উপর দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে ইচ্ছাক়ৃত বাধা তৈরি করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব আজকের যে বৈঠক ডেকেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতর মিলিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের জন্য মোট কত শূন্যপদ এখন আছে তার একটা সমীক্ষা এবার করা হবে। সেখান থেকে বোঝা যাবে বাংলায় সরকারি চাকরিতে আগামী দিনে কত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।