করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে উঠছিল নানা অভিযোগ। কোথাও রোগী ফেরানোর অভিযোগ উঠেছিল নামি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কোথাও আবার করোনার চিকিৎসায় বিপুল বিল ধরানোর অভিযোগ তুলেছিলেন রোগীরা। এই নিয়ে বুধবারই নবান্নে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির কর্তাদের নবান্নে তলব করে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, যথেচ্ছাচার চলবে না।
বুধবারই মমতা জানিয়েছিলেন, এদিন নবান্নে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকের পর রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিয়ম। তার মধ্যে সব থেকে বড় পদক্ষেপ, এবার থেকে প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালে কত শয্যা খালি রয়েছে তা জানাতে হবে নবান্নকে। সেই তথ্য আপডেট করা হবে সরকারি ওয়েবসাইটে।
এদিন মুখ্যসচিব জানান, এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালে খালি শয্যার সংখ্যা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই তথ্য আপডেট করা হবে সরকারি ওয়েবসাইটে। কোনও রোগী কোনও হাসপাতালে যাওয়ার আগে দেখে নিতে পারবেন সেখানে খালি শয্যা রয়েছে কি না।
তিনি বলেন, রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রায় ১০,০০০ খালি শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে ৮,০০০ শয্যা এখন খালি। তার পরেও বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগী ফেরাচ্ছে। এবার থেকে শয্যা খালি থাকলে রোগী ফেরানো যাবে না বলে স্পষ্ট করে দেন মুখ্যসচিব।
সঙ্গে হাসপাতালের বিল নিয়ে যে অসংলগ্নতার অভিযোগ উঠেছে তা নিয়েও বলেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার খরচ কমাতে হবে। সঙ্গে কমাতে হবে করোনা পরীক্ষা ও PPE-র দাম।
করোনা চিকিৎসা নিয়ে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ করছিলেন রোগীরা। এবার তার সুরাহা হয় কি না তা দেখার।