কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ–এর সিইও পদ থেকে সরানো হল অন্তরা আচার্যকে। তাঁকে পূর্ত দফতরের সচিব পদে পাঠানো হল। সম্প্রতি নজরুল মঞ্চে কে কে–এর অনুষ্ঠানকে ঘিরে কিছু বিশৃঙ্খলতা ও অব্যবস্থার ছবি সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, ওই ঘটনার সঙ্গে কী বদলির সম্পর্ক রয়েছে।
সম্প্রতি নবান্ন থেকে যে বদলির তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অন্তরা আচার্যের নাম রয়েছে। অন্তরা আচার্যের জায়গায় কেএমডিএ–এর নতুন সিইও–এর দায়িত্ব সামলাবেন খলিল আহমেদ। উনি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবের পাশাপাশি কেএমডিএ–এর সিইও–এর অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন। যেহেতু খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই বদলির নির্দেশ কার্যকর হল, সেহেতু অনেক প্রশ্নই উঠে আসছে। নজরুল মঞ্চে কেকে–এর অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলতার ঘটনা সামনে আসার পর কেএমডিএ–এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের দিন নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট কেএমডিএ কলকাতার মেয়রকে জমা দিয়েছে। কেএমডিএ–এর তরফে কলকাতার মেয়রের কাছে অনুরোধ জানানো হয় যাতে নজরুল মঞ্চে আর কোনও কলেজের অনুষ্ঠান না করার অনুমতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলা শাসক ও বিভিন্ন দফতরের সচিব পদে বদল করেছে নবান্ন। স্বাস্থ্য দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহনকে পাঠানো হল পর্যটন দফতরে। পর্যটন দফতরে যিনি ছিলেন, সেই নন্দিনী চক্রবর্তীকে পাঠানো হল জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দফতরের প্রধান সচিব পদে। মোট ২৪ জন আমলার বদলি হয়েছে। তবে তার মধ্যে কেএমডিএ–এর সচিবের বদলির ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।