২০১৩ সালের আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেয়নি। এর জেরে এবার জাতীয় সড়ক বিভাগের অধিগৃহীত জমির দখলের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মূলত কেন্দ্রের তৈরি আইন না মানার জেরেই কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে এই কড়া নির্দেশ। মূলত সমস্য়াটা হয়েছে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ধার্য না করার জেরেই এই সমস্যা। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের নতুন যে জমি অধিগ্রহণ আইন রয়েছে সেই আইন মেনে জমিদাতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই জমির দখল নেওয়া যাবে না।
বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নতুন আইন মেনে জমিদাতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটা না দেওয়া পর্যন্ত জমির দখল নেওয়া যাবে না।
মূলত জাতীয় সড়কে বাইপাস তৈরির ক্ষেত্রে এবার বড় জট সামনে আসছে।
সূত্রের খবর, সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এবার মালদায় জাতীয় সড়কের বাইপাস তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হল। এখানে মূল জটিলতা কোন ক্ষেত্রে হয়েছে?
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে মালদার চাঁচলে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইপাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেখানেই মূল জটিলতা তৈরি হয়। একটা ইটভাটাও ওই বাইপাসের মধ্যে চলে যাচ্ছিল। এনিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিল ইটভাটা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ওই জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার নানা নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ। নিয়ম অনুসারে গ্রামীণ এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে বাজারদরের তুলনায় চারগুণ দাম ও শহরের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দাম দিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
এরপরই এনিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে এবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে জমির দখল নেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে অনেকের মতে, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে আদালত। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত হবেন জমিদাতারা।