দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের ২২টি জেলায় ভোট হবে এক দফাতেই। এমনটাই জানিয়েছেন নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে নানা জায়গা থেকে প্রকাশ্যে এসেছিল হিংসার ছবি। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে, হোয়াটসঅ্য়াপে দেওয়া মনোনয়নও গ্রাহ্য় হয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে, এবারও কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে?
এদিকে এখন চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। আজ, শুক্রবার প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার সর্বদল বৈঠক হতে পারে। আজ শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। তখন থেকে শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন জমা, যা চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। তার মধ্যে রবিবার ছাড়া প্রত্যেক দিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। তবে অনলাইনে মনোনয়ন নেওয়া হবে না বলেই খবর। ১৭ জুন স্ক্রুটিনির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা যাবে ২০ জুন পর্যন্ত। মনোনয়ন যেখানে জমা নেওয়া হবে সেখানের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ৮ জুলাই ভোট হলেও গণনা কবে হবে? মৌখিকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১১ জুলাই ভোটগণনা হতে পারে। এটা পরিবর্তনও হতে পারে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২২টি জেলায় ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে ভোট হবে। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭৩০। জেলা পরিষদে রয়েছে ৯২৮টি আসন। ভোট দেবেন ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪ জন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারে কী ভাবছে কমিশন? রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
অনলাইনে কি মনোনয়ন জমা হবে না? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা গতবার হয়েছিল। এবার এই বিষয়ে রাজীব সিনহা বলেন, ‘রাজ্য পুলিশে ভরসা রাখা উচিত। আমাদের উপর আস্থা রাখুন। প্রস্তুতিতে কোনও গাফিলতি থাকবে না। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরও বলব আমাদের উপর আস্থা রাখতে। আমরা এখনও অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ এখন শুধু আমরা প্রেস অ্য়ানাউন্সমেন্ট করছি। সমস্তরকম যে প্রস্তাব এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে, সেটা আমরা আলোচনা করব। রাজ্য় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর সঠিক সিদ্ধান্ত সময়মতো আমরা নেব। গতবার বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেরকম বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে এবার ভেবে দেখা হবে।’