বারবার জামিন চেয়েও মেলেনি। চোখের জল ফেলেও বিশেষ লাভ হয়নি। প্রেসিডেন্সি জেলেই রাত কাটাতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে দু’জনকে মাথা নীচু করে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও রাতে ঘুম হল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও তাঁর পাশের ঘরেই রাত কাটালেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সারারাত ঘুমতে পারেননি পার্থ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআইয়ের গেস্ট রুমে রাখা হয়েছে পার্থ এবং কল্যাণময়কে। পাশাপাশি দুটি ঘরে পার্থ–কল্যাণময়। সূত্রের খবর, রাতে ঘুমতে পারেননি পার্থ। পাশের ঘরে কল্যাণময় থাকলেও সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। কারণ কড়া প্রহরা। কল্যাণময়ের ঘুম হয়েছে ঠিকঠাক। তবে তিনি পার্থের কাছে আসতে পারেননি। শনিবার ভোরবেলায় ঘুম আসে পার্থের। তাই ঘুম ভাঙতেও দেরি হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘুমতে না পেরে রাতে পায়চারি করতে থাকেন। একবার ঘরের বাইরেও উঁকি মেরেছিলেন। নিশুতি রাতে কড়া পাহারা চোখে পড়ে তাঁর। তারপর আবার ঘরের ভিতরে ঢুকে যান। সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছিলেন। আবার শুয়ে পড়লেন। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। উঠে একটু জল খেলেন। তারপর খাটে বসে মাথা নীচু করে ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই কী করতে চাইছে? সিবিআই সূত্রে খবর, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে পার্থ–কল্যাণময়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা চায় সিবিআই অফিসাররা। সেই প্রস্তুতিই এখন চলছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তৎকালীন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহাকে। তাঁদেরকে এখানে বসানো হবে কিনা জানা যায়নি। এই জেরা পর্বে যা উঠে আসবে সেই তথ্যই আদালতের সামনে কুলে ধরবে সিবিআই।