রাজ্যে ২ মন্ত্রী সহ ৪ নেতাকে সিবিআই দফতরে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার দিন যদি দফতরের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান তাঁদের সমর্থকরা, তাহলে সেটাকে বিশৃঙ্খলতা বলা যাবে না। সোমবার নারদের শুনানি মামলায় এই পর্যবেক্ষণই ছিল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের।নারদ মামলার শুনানি এই রাজ্য থেকে সরিয়ে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।এদিন সেই মামলারই শুনানি চলে।সেই শুনানি চলাকালীনই আদালতের তরফে এই কথা জানানো হয়।
এদিন সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতের কাছে আবেদন করেন, ৪ নেতাকে গ্রেফতারের দিন যেভাবে সিবিআই দফতরের সামনে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল ও বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে সিবিআই মনে করছে, এই মামলা এই রাজ্যে চললে ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।সেই কারণে এই মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।সলিসিটর জেনারেলের এই যুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন অভিযুক্তের তরফের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।তিনি জানান, সেদিন বিশৃঙ্খলতার যে সৃষ্টি হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই।গত ১৭ মে হাই কোর্টে যে চিঠি পাঠায় সিবিআই, তাতেও তো এই ধরনের কোনও বিষয়ের কথা তো উল্লেখ নেই।একই সঙ্গে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, যে কায়দায় রাজ্যের ওই ৪ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই।তাদের গ্রেফতার করার পিছনে কোনও কারণ ছিল না।এরপরেই হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের পক্ষ থেকে এই পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে রাজ্যের ২ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই।সেইদিনই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ৪ নেতার জামিন মঞ্জুর করার পর সেই রাতেই কলকাতা হাইকোর্টে যায় সিবিআই।কলকাতা হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।তারপরে এই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।গত ২৮ মে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ ওই ৪ নেতার শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে।