স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে পা রেখেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। সোমবার তাঁকে জেলে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। জেলের হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় SSKM হাসপাতালে।
স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্যারোলে মুক্ত ছিলেন কালীঘাটের কাকু। তবে তাঁর সঙ্গে সব সময় ছিলেন ইডির একজন আধিকারিক। সোমবার প্যারোলের মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরেন সুজয়কৃষ্ণবাবু। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইডি আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই অসুস্ত হয়ে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁর রক্তচাপ অস্থির। রক্তে অক্সিজেন সম্পৃক্ততাও কম। এর পর তাঁকে SSKM হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছে ইডি। অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কালো টাকা সাদা করেছেন তিনি। সঙ্গে নিজেও ব্যবসায় সেই টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুজয়বাবুর নাম প্রথম প্রকাশ্যে আনেন গোপাল দলপতি। তার পর তাঁকে জেরার জন্য তলব করে ইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের পুরনো কর্মী এই সুজয়কৃষ্ণ। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন তিনি।