বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court: নবান্ন অভিযানের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, মানা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের বিধি

Calcutta High Court: নবান্ন অভিযানের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, মানা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের বিধি

বিজেপির নবান্ন অভিযান

তিনদিক থেকে তিনটি মিছিল এলেও নবান্নের ধারে–কাছে পৌঁছতে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়–সহ অনেকেই পুলিশের হাতে আটক হন। তাঁদের লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সাঁতরাগাছিতে উত্তেজনা তৈরি করতে গেলে পুলিশের জলকামানের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা।

আজ, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের অনুমতি ছিল না। অথচ এই কর্মসূচির জেরে নারাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এমনকী অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আটকে পড়ে। সেখানে ছিলেন ক্যান্সার রোগী। এই বিজেপির নবান্ন অভিযানের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। হলফনামায় মামলাকারী ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন, বিজেপির এই অভিযানের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাও যুক্ত করেন তিনি। তাতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তার পরই মামলা দায়ের হয়। তবে মঙ্গলবার শুনানির কোনও সম্ভাবনা নেই।

ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে?‌ আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে নবান্ন অভিযান করতে পথে নামে বিজেপি নেতারা। তাতে সাধারণ মানুষ নাকাল হন। গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাস স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেনি। ট্রেন–ট্রাম স্বাভাবিক নিয়মে মেলেনি। অফিস যাত্রীরা নাকাল হন। এই কারণেই বিজেপির নবান্ন অভিযানের বিরুদ্ধে মামলা জমা পড়ে আদালতে। মামলাকারী আদালতে জানান, জাতীয় সড়ক আটকে এবং জনজীবন বিপন্ন করে সভা–সমিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার পরেও কী ভাবে সভা? অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক আদালত।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এদিন মামলাকারীকে মামলা দায়ের করতে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্ট দিলেও শুনানি আজ করতে রাজি হননি বিচারপতি। তাই আজ কোনও আলোচনা হবে না আদালতে। পরে সময় বুঝে শুনানি হবে। বিজেপির অভিযানে বাধা না এলেও সেটি কার্যত ফ্লপ শোতে পরিণত হয়েছে। কারণ বিরাট কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। যদিও ব্যান্ড নিয়ে ঢাক–ঢোল পিটিয়ে মাহেশ্বরী সদন থেকে মিছিল করে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে আসেন বিজেপি কর্মীরা।

উল্লেখ্য, তিনদিক থেকে তিনটি মিছিল এলেও নবান্নের ধারে–কাছে পৌঁছতে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়–সহ অনেকেই পুলিশের হাতে আটক হন। তাঁদের লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সাঁতরাগাছিতে উত্তেজনা তৈরি করতে গেলে পুলিশের জলকামানের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। সুতরাং রাস্তায় বুঝে নেওয়া হবে বলে যে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তা দেখা যায়নি। বরং পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি পরিস্থিতি সরগরম করার চেষ্টা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বোমা ছুঁড়েছে।

বন্ধ করুন