বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > OTT-তে ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে প্রতারণার ফাঁদ, আলিপুরের কলসেন্টারে ঢুকে হতবাক পুলিশ

OTT-তে ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে প্রতারণার ফাঁদ, আলিপুরের কলসেন্টারে ঢুকে হতবাক পুলিশ

নিউ আলিপুরের কলসেন্টারে হানা দিল পুলিশ প্রতীকী ছবি (Photo by Sunil Ghosh / Hindustan Times) (Hindustan Times)

অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশের নাগরিকদের টার্গেট করত অভিযুক্তরা। ওটিটি প্লাটফর্মে নতুন কানেকশন, অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়ার ও টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়ার বিনিময়ে তারা প্রলোভন দেখাত। পর্দাফাঁস করে দিল পুলিশ। 

নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনিতে কলসেন্টারে হানা দিল গোয়েন্দা বিভাগ। সব মিলিয়ে ১৯জনকে আটক করা হয়েছে এই ঘটনায়। ওটিটি প্লাটফর্মে ছাড় দেওয়ার নাম করে এরা প্রতারণা করত বলে অভিযোগ। এরা মূলত অস্ট্রেলিয়ান ও আমেরিকানদের টার্গেট করত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, হয়তো অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কাছাকাছি জায়গা থেকে অপর একটি কলসেন্টার চালানো শুরু করেছিল। 

জয়েন্ট সিপি ক্রামই শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিউ আলিপুরের একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটের সেকেন্ড ফ্লোরে এই কীর্তি হত। সেখান থেকে ১৯জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্য়ে ২জন মহিলাও রয়েছেন। ১৮টি ডেস্কটপ, ১৮টি সিপিইউ, ২২টি মোবাইল ও কিছু রেজিস্টার খাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৩৪ বছর বয়সী দীপঙ্কর রায় ও ২৯ বছর বয়সী রোহিত দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারাই কলসেন্টার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন,অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশের নাগরিকদের টার্গেট করত অভিযুক্তরা। ওটিটি প্লাটফর্মে নতুন কানেকশন, অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়ার ও টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়ার বিনিময়ে তারা প্রলোভন দেখাত। অনলাইন গিফট কার্ড বিনিময়ের কথা তারা বলত। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। এরপরই অভিযুক্তরা বিদেশিদের অ্য়াকাউন্ট ফাঁকা করে দিত। 

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। তারপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

সম্প্রতি কলকাতার কলসেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রায় ৪ কোটি টাকার হদিশ পায়। একাধিক গাড়িরও সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। এরপর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। সম্প্রতি বিধাননগর পুলিশ সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটু ভুয়ো কলসেন্টারের সন্ধান পায়। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্য়ে৬জন মহিলা ও ২জন পুরুষ।

আসলে টাওয়ার বসানোর নাম করে এই কল সেন্টার থেকে ফোন করা হত বলে অভিযোগ। কিন্তু বাস্তবে গোটাটাই ছিল একটা ফাঁদ।সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল টাকা তুলে নিয়ে যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করে দিত তারা।

ডিএন ব্লকে সিগনেট টাওয়ার এলাকায় বিধাননগর থানার পুলিশ অভিযানে নেমেছিল। এদিকে কারওয়াশ সেন্টার বলে তারা নিজেদের দাবি করত। কিন্তু আসলে এখান থেকে টাওয়ার বসানোর নাম করে ফোন করা হত। বাড়িতে জায়গা থাকলে বা ছাদ থাকলে সেখানে টাওয়ার বসিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করার লোভ দেখানো হত। কিন্তু বাস্তবে টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা করা হত। সিকিউরিটি ডিপোজিটের নাম করে মোটা টাকা আদায় করা হত। তারপরই শুরু হত আসল খেলা।

 

বন্ধ করুন