শহরের উপর দিয়েও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট বয়ে গিয়েছে। তবে তা জেলার থেকে তুলনায় কম। তবু তাতে কিছু ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুৎ পোস্টের। এই বিষয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘জল এখনও রাস্তায় রয়েছে। তাই জল না কমে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলিতে যেতে পারছেন না। ভয়াবহভাবে কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলা একেবারেই জলমগ্ন। দমকা হাওয়ায় প্রচুর বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি–সহ প্রচুর জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন অরূপ বিশ্বাস। প্রতিটি জেলা তথা শহরে কোথায়, কি হয়েছে তার খোঁজ নেন তিনি। তারপর তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা জলমগ্ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব দিক খতিয়ে দেখে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে বিদ্যুৎ দফতর।’ সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হবে বলে খবর।
বুধবার একইসঙ্গে তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল বিদ্যুৎ দফতর। একইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন জেলায় কর্মরত বিদ্যুৎ কর্মীদের জানান, জল নামলে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব বিস্তারিতভাবে দফতরে জমা করার জন্য। বিদ্যুৎ কর্মীরা যাতে সতর্কভাবে কাজ করেন এবং প্রাণের ঝুঁকি না নেন সে কথাও বলেছেন মন্ত্রী।