রাজ্যজুড়ে তীব্র গরমে পুড়ছে মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একসপ্তাহের জন্য বন্ধ আছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অফিস–কাছারি তো খোলাই। সেখানে কোনও গরমের ছুটি নেই। তাই রাস্তায় দেখা যাচ্ছে অফিস যাত্রীদের। শুধু রাস্তায় নেই পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। আর এই তীব্র দাবদাহে বেরচ্ছেন না অনেকেই। আর তার জেরে যাত্রী কমে যাওয়ায় বেলা গড়াতেই রাজ্যজুড়ে কমতে শুরু করেছে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস। এমনকী কলকাতার রাজপথে তা বড় আকার নেওয়ায় অফিসযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে সরকারি বাস পরিষেবাও কমেছে। তার সঙ্গে কমেছে বেসরকারি বাসও। যার জেরে সমস্যার পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সকালে তাঁকা অফিস যাওয়ার সময় বাস পেলেও দুপুরের দিকে বাস অমিল হয়ে পড়ছে। এমনকী অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ও বাস পাচ্ছেন না তাঁরা। কারণ গরমের চোটে বাস আর ট্রিপ খাটছে না। তাই অফিস ফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তবে এবার বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস রাস্তায় থাকে।
ঠিক কী বলছে বাসমালিক সংগঠন? অন্যদিকে এই সমস্যায় এখন নাকাল হচ্ছেন অফিসযাত্রীরা। আর বিষয়টি নিয়ে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে দুপুরের দিকে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বাসে যাত্রী হচ্ছেই না। বিকেলের পর অনেক বাসচালক আর গাড়ি চালাতে চাইছেন না। তাই গাড়ির সংখ্যা রোজ কমছে।’ এই নিয়ে বিকল্প পথের কথা ভাবতে শুরু করেছেন বাসমালিকরা। কারণ বাস না চালালে তাঁদেরও রুটি–রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। তাই তাঁদেরও ভাবিয়ে তুলেছে বিষয়টি নিয়ে।
ঠিক কী ঘটতে চলেছে? সূত্রের খবর, বাস ইউনিয়নগুলি নতুন করে ডিউটি রোস্টার তৈরি করতে চলেছে। কারণ বাসের ইঞ্জিন অসহ্য গরম হয়ে যাওয়ায় চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই চালকদের চারদিনের বদলে দু’দিন করে ডিউটি করার কথা ভাবা হয়েছে। এই বি্ষয়ে অল বেঙ্গল বাস–মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাসের কর্মী নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কোনও চালকই একটানা ডিউটি করতে পারছেন না। দুপুরের পর থেকে যাত্রী হচ্ছে না। তাই অসংখ্য বাস বসে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের জেরে চালক ও কনডাক্টরদের মধ্যে ওআরএস বিলি করা হবে।’