প্রায় দু'মাস আগে উচ্চ শিক্ষা সংসদের সচিব পদে দায়িত্ব নিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। এই আবহে প্রথমবার সংসদের কোনও নির্দেশিকা বের হল তাঁর নামে। উল্লেখ্য, প্রিয়দর্শিনী সচিব পদে দায়িত্ব পাওয়ার পরও সংসদের সব নির্দেশিকায় সই থাকত সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যর। উল্লেখ্য, সংসদ থেকে যা সব নির্দেশিকা বেরোয় তাতে রীতি অনুযায়ী সভাপতিরই সই থাকে। যদিও সেই সব নির্দেশিকা প্রকাশ করে থাকেন সচিব। তবে এবার নির্দেশিকায় সই বালুকন্যার। (আরও পড়ুন: অর্পিতার সিনেমার পরিচালক ছিলেন খাদ্য দফতরের কর্মী! গল্প লিখেছিলেন এক আধিকারিক)
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে সংসদের চিব পদটি ফাঁকা ছিল। এর আগে ২০১৭ সালে তাপস মুখোপাধ্যায় ওএসডি হয়ে সচিবের দায়িত্ব সামলাতে শুরু করেন। পরে ২০২১ সালে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এই আবহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রিয়দর্শিনীকে সচিব পদে বসানো হয়। তিন বছর তিনি সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে ছিলেন প্রিয়দর্শিনী।
আরও পড়ুন: অর্পিতাকে নিয়ে 'স্বপ্নে বিভোর' ছিলেন পার্থ, তাতে 'গঙ্গা জল' ঢেলেছিলেন বালু!
এদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ের নামও জড়িয়েছে সম্প্রতি। এই আবহে জ্যোতিপ্রিয়র কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে তলব করেছিল ইডি। সেই মতো রবিবার নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছিলেন তিনি। তবে সেদিন অফিস বন্ধ থাকায় তিনি নাকি নথি জমা দিতে পারেননি। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তল্লাশি অভিযান চলে ১১টি চাল কলে। সেখান থেকেই নাকি জানা গিয়েছে, একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় হয়েছে। ইডির দাবি, সেই সব ভুয়ো সংস্থা নিজের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য এবং বাকিবুরের মতো ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে চালাতেন জ্যোতিপ্রিয়। মোট ৯৫ কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। এই আবহে জ্যোতিপ্রিয়র পারিবারিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বালুর স্ত্রী এবং মেয়ের উপার্জনের ওপরও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। এই আবহে আয়কর রিটার্নের নথি খতিয়ে ইডি জানতে পেরেছে, জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী নাকি টিউশন পড়িয়ে ৩.৩৭ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর অ্যাকাউন্ট। পেশায় প্রিয়দর্শিনী কলেজের সহকারী অধ্যাপক। এই আবহে তাঁর বার্ষিক আয় ২.৪৮ লাখ টাকা। তবে অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩.৩৭ কোটি টাকা। ইডির জেরার মুখে পড়ে নাকি প্রিয়দর্শিনী জানান, তিনি এই টাকা টিউশন পড়িয়ে আয় করেছেন। এদিকে বালুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে আইডিবিআই-এর অ্যাকাউন্টে। সেখানে ৪.৩ কোটি টাকা রয়েছে।