বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > জবাব অসম্পূর্ণ, PSC-কে RTI এর জবাব দেওয়ার জন্য আর ১ মাস সময় দিলেন শুভেন্দু

জবাব অসম্পূর্ণ, PSC-কে RTI এর জবাব দেওয়ার জন্য আর ১ মাস সময় দিলেন শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারী। 

WBCS পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে PSC-র কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারমধ্যে মাত্র ২টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তারা। 

রাজ্যে WBCS পরীক্ষার মাধ্যমে বিডিও নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত মাসে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে তথ্য জানার অধিকার আইনে একগুচ্ছ প্রশ্ন রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই প্রশ্নের অসম্পূর্ণ জবাব এসেছে বলে সোমবার অভিযোগ করলেন তিনি। এদিন শুভেন্দুবাবু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের জবাবের প্রতিলিপি এক্স করে লিখেছেন, বাকি প্রশ্নের জবাবের জন্য আর ১ মাস অপেক্ষা করব। তার পর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে WBCS আধিকারিক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে RTI করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। RTI-তে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর প্রশ্ন ছিল ওই সময়ের মধ্যে WBCS প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কত জন বসেছিলেন? তাদের ফল কী ছিল? কতজন মেইনস পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন? তাদের ফল কী ছিল? তাদের মধ্যে কাদের ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছিল? তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষায় নম্বর কত ছিল? এদের মধ্যে কারা চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন?

শুভেন্দুবাবুর এই দীর্ঘ প্রশ্নমালার মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৫ – ২০১৮ পর্যন্ত কতজন প্রিলিমিনারি ও মেইনস পরীক্ষায় বসেছিলেন তার বছর অনুসারে তালিকা পেশ করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ – ১৭ পর্যন্ত ২টি পরীক্ষাতেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোটের ওপর স্থির থাকলেও ২০১৮ সালে তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে। বাকি প্রশ্নের উত্তর পরে দেওয়া হবে বলে জবাবে জানিয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তথ্য জানার অধিকার আইনে ১ মাসের মধ্যে জবাব দেওয়া বাধ্যতামূলক। অসম্পূর্ণ জবাব দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন আইনের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাল বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন PSC-র জবাব পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, বাকি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য আর ১ মাস সময় দেব। তার পর আইনি পদক্ষেপ করব।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল সরকারের জমানায় অন্যান্য চাকরির মতো WBCS নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক তথ্যে জানা গিয়েছে চলতি বছর WBCS পাশ করা মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

বন্ধ করুন