শেষ তিন বছরে হাওড়ার জন্য কোনও কাজই করেননি প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। এভাবেই হাওড়ার প্রাক্তন মেয়রের কাজের সমালোচনা করলেন হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে ফেরা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন প্রসূন। রাজীবের পর এবার রথীনের প্রতি আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ।
হাওড়ার প্রাক্তন মেয়রের উদ্দেশ্যে তৃণমূলের এই সাংসদ জানান, ‘রথীন চক্রবর্তীকে মেয়র করার জন্য আমিই দলের কাছে অনুমোদন চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি, ওটা মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। রথীনের মেয়র হওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই। শুরুর দিকে প্রথম দুবছর হাওড়ায় কিছু কাজ হলেও শেষের তিন বছর কোনও কাজই হয়নি। উন্নয়ন থমকে গিয়েছিল।’ একইসঙ্গে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে নিলেও বালির মানুষের জন্য তেমন কোনও কাজ হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন প্রসূন। তাঁর মতে, বালির মানুষ কার্যত অবহেলার স্বীকার হয়েছেন। তাঁর নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের ব্যাপারে তাঁকে কোনওদিন ডাকেননি।
এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের নাম না করে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘কিছু লোক আছে, যারা ঠিক নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সব লোক হাওড়ায় ঢুকতে পারবে না। যত বড়ই মাতব্বর হও না কেন, হাওড়ায় ঢুকতে দেব না। ভেবেছিল দিদি হেরে যাবে। এখন হেরে গিয়ে দিদির ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো। দল যদি বলে আপনি পদত্যাগ করে চলে যান, তাহলে মমতাদির পায়ের সামনে হাঁটু গেরে বসে থাকব।’