কমিশন বাড়ানো-সহ একাধিক দাবিতে খাদ্যভনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন রেশন ডিলাররা। তাদের দাবি অবিলম্বে কমিশন বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে ১ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটে যাবেন তাঁরা।
শুক্রবার সকাল থেকে খাদ্যভবনের সামনে জমায়েত হবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রেশন ডিলারা। তাঁরা ডেপুটেশনও দেন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে।
করোনার সময় থেকে রেশন ডিলাররা কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁরা জানিয়েছে, রেশনে ১ কুইন্টাল চাল বা গম গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন ৯৫ টাকা কমিশন পান ডিলাররা। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, ৪৫৭ টাকা কমিশন দেওযার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ায় ডিলাররা খুশি নয়। তাঁদের অভিযোগ
যে পরিমাণ কমিশন পান, তা দিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ দায় হয়ে উঠেছে। তাই তাঁদের দাবি অবিলম্বে, কমিশন কাঠামোর সংস্কার করা হোক।
রেশন ডিলারদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের উপর পরস্পরের ঘাড়ে দায় ঠেলছে। সে কারণেই তাঁরা ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন।
ই-পস মেশিন নিয়েও অভিযোগ রয়েছে ডিলারদের। তাঁদের অভিযোগ, মাসের শুরুতে বরাদ্দ তালিকা ই-পস পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হয়। ডিলারদের অভিযোগ যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং যা বাস্তবে পাচ্ছে তাঁরা তাতে অনেকটাই ফারাক থেকে যাচ্ছে। ফলে ডিলার-গ্রাহকদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। বাববার বলা সত্ত্বেও সমস্যার কোনও সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান না হলে ১জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছেন রেশন ডিলাররা। দেশ জুড়ে এই রেশন ধর্মঘটে সামিল হবেন ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার রেশন ডিলার। এর মধ্যে রাজ্যে ডিলারদের সংখ্যা ২০ হাজার ২৭১জন।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি আগে বলেছিলেন, ‘কেউ বলছেন ডিস্ট্রিবিউটররা ডিলারদের মাল কম দিচ্ছেন। আমাদের অর্ডার হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটররা যে মাল দিচ্ছেন সেটা তাঁরা মেপে নিতে পারেন। পাশাপাশি টিআর চালান যতক্ষণ না তাঁরা সই করছেন ততক্ষণ ডিস্ট্রিবিউটররা টাকা পাবেন না। তাহলে কেন ডিলাররা দেখে নিচ্ছেন না আগে সেটা প্রশ্ন। পরে বলছেন কম দিচ্ছে। কিন্তু, প্রশ্নটা হচ্ছে নিচ্ছেন কেন?’
তবে জবাবে খুশি হননি ডিলার। তাই তাঁরা ডেপুটেশন দিতে আসেন শুক্রবার।