‘নিখোঁজ’ শাহজাহান শেখ কলকাতার নগরদায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেই মামলা শুনানি চলছে আদালতে। যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তাঁকে ‘ফাঁসানোর চেষ্টা’ চলছে বলে আদালতে অভিযোগ তুললেন তাঁর আইনজীবী। যেহেতু তিনি রাজনীতিক তাই তাঁর বিরুদ্ধে ‘উইচ হাণ্ট’ চলছে।
আদালতে শাহজাহান শেখের আইনজীবীর দাবি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতো। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠিতে শাহজাহানের নাম ছিল বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তার ভিত্তিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি, সোজা বাড়িতে তল্লাশিতে চলে গিয়েছিল।
আগাম জামিনে পক্ষে যুক্তি হিসাবে আইনজীবী আদালতে আরও বলেন, পর পর দুবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রথমবার তল্লাশি গিয়ে ইডি আধিকারিকরা শাহজাহান অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়। কিন্তু সেই দিন তাঁকে কোনও সমন পাঠানো হয়নি। শাহজাহানের দাবি দ্বিতীয়বার তল্লাশিতে গেলেও তাঁকে সমন পাঠায়নি ইডি। পরিবর্তে নোটিশ সাঁটিয়ে এসেছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি তৃণমূল নেতার সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি।
পড়ুন। শাহজাহানের বিষয় - আশয় জানতে তৎপর হল ইডি, ১০ বছরের তথ্য খুঁজতে নির্দেশ
আদালতে আইনীবীর দাবি, যদি ইডি-র হাতে যদি পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থাকত তবে তবে শুধু নোটিস সাঁটিয়ে আসত না তার বদলে সমন পাঠানো হত। আইনজীবী বলেন তাঁর মক্কেলের আশঙ্কা, তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। সে কারণেই আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
আইনজীবী আদালতে আরও বলেন, রেশন দুর্নীতিতে ইডি-র এফআইআর বা চার্জশিটে তাঁর মক্কেল নাম নেই। তা সত্ত্বে তার বাড়িতে গিয়ে তাঁক লুক আউট নোটিশ দিয়ে এসেছেন। কী কারণে? তবে কী তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছেন।
খোদ শাহজাহানও আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের বয়ান পাঠিয়েছেন আদালতে। তিনি বলেছেন , ওরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত। আমার নাম থাকা সত্ত্বে ওরা আমার বয়ান নেয়নি।’
পড়ুন। আদালতের তত্ত্বাবধানে শাহজাহান, জানালেন স্পিকার, সই করছেন অথচ ‘তোমার দেখা নাই!’
আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে শাহজাহান বলেছেন, ‘আমি রাজনীতিক বলেই এ সব করা হয়েছে।ওদের কাছে আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। উইচ হান্ট চলছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফ্রেম করা হচ্ছে।’
পরবর্তী শুনানিতে ইডির যুক্তি শুনবে আদালত।