শেখ শাহজাহান কোথায়? গত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না কিছুতেই। তিনি কোথায় গেলেন তা নিয়ে তৃণমূলের নেতারা নানা কথা বলছেন। কারোর কাছে তিনি আবার প্রায় স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো, কেউ আবার তাঁকে ভদ্রলোক বলে দাবি করছেন।
এদিকে সেই সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাকি নাগালই পাচ্ছে না পুলিশ। তবে সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু আগাম জামিনের আবেদন করতে গেলেও তো সই করতে হয়। কিন্তু যাকে পাওয়া যাচ্ছে না তিনি সই করলেন কীভাবে?
এবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় শাহজাহান প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, শাহজাহান শেখ কি আদালতে যেতে পারেন না? আমি তো মনে করি আদালতের তত্ত্ববধানেই আছেন। যখন কোনও ব্যক্তি আদালতে আবেদন করেন আগাম জামিনের জন্য তার মানে তিনি এখন আদালতের তত্ত্বাবধানেই আছেন।
সেই সঙ্গেই স্পিকার জানিয়েছেন, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। শাহজাহান শেখ তো আবেদন করতেই পারেন। এতে অন্যায়ের কী আছে! শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে একটা মামলা হয়েছে। তিনি আগাম জামিনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এতে ভুল কী আছে?
তবে শাহজাহান গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন নাকি এই প্রশ্নের ব্যাপারে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি।
এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় শেখ শাহজাহান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, শেখ শাহজাহান কী করেছে? ঘটনা যেদিন ঘটেছে সেদিন শেখ শাহজাহান ছিল বলে জানা নেই। কিছু লোকের বিক্ষোভ আমি দেখতে পেয়েছি। আমি জানি না। তবে যে ঘটনাটা ঘটেছে অনভিপ্রেত। এই ঘটনাটা না ঘটলেই ভালো হত। যে ঘটনাটা তার বাড়ির বাইরে ঘটেছে সেটা কে ঘটিয়েছে সেটা তো তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। কেস তো বিচারাধীন। ইডি মামলা করেছে। সিট গঠন করে তদন্তও হচ্ছে। যতক্ষণ না তদন্তে কোনও ফয়সলা হচ্ছে ততক্ষণ আমি কী করে বলতে পারি এর পিছনে কে আছে?
অভিষেক বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা কথা বলেছিলেন। পুলিশকে না জানালে কিন্তু সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হতে পারে? আর তার পর যদি কিছু ঘটে তাহলে তার দায় কি পুলিশকে দেওয়া যায় না।’ সেই সঙ্গেই অভিষেকের সংযোজন, ‘কলকাতা থেকে সাত সকালে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছনোর কয়েক মিনিটের মধ্যে সংবাদমাধ্যম সেখানে পৌঁছে গেল। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ জানতে পারল না। আমি কোনও ঘটনা সমর্থন করছি না। যেটা হয়েছে শুধু সেটা বলছি’।