বর্ষশেষের রাতে কলকাতার রেস্তোরাঁতে এবার রেকর্ড বিক্রিবাটা। বিশেষত পার্কস্ট্রিট ও মধ্য় কলকাতার রেস্তোরাঁগুলিতে তিলধারণের জায়গা ছিল না। পরিংসংখ্যান বলছে গতবারের তুলনায় এবার বিক্রিবাটা প্রায় ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবার বর্ষশেষের রাতে প্রতিবারে মতো আলোকমালায় সেজে উঠেছিল পার্ক স্ট্রিট। তবে গত কয়েক বছরের মতো এবার আর করোনা আতঙ্ক সেভাবে ছিল না। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হুজুগ। শুধু যে কলকাতার লোকজনই এবার পার্ক স্ট্রিটে বর্ষবরণের রাত কাটাতে এসেছিলেন এমনটা নয়, ভিনজেলা থেকেও বাসিন্দারা দলে দলে এসেছিলেন পার্কস্ট্রিটের একাধিক রেস্তোোরাঁতে। ভোরবেলা পর্যন্ত দলে দলে মানুষ কাটিয়েছেন পার্কস্ট্রিটে।
সূত্রের খবর, প্রায় রাত ২টো পর্যন্ত পার্কস্ট্রিট, মধ্য় ও দক্ষিণ কলকাতার বহু রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মোকাম্বো ও পিটার ক্যাটের মালিক নীতিন কোঠারি জানিয়েছেন, এবার বিশৃঙ্খল মানুষের সংখ্য়া অনেকটাই কম। গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। পার্ক স্ট্রিটের ওয়েসিসেও এবার প্রচুর ভিড়। তবে রাত বাড়লে ভিড় কিছুটা হালকা হয়।
বাঙালির আসলে বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গাপুজোর পরে বড় পার্বণ বলতে বড়দিন আর নতুন বছর উদযাপনের আনন্দ। আর থার্টি ফার্স্টের নাইটের উল্লাস যেন দিন কে দিন বাড়ছে। একটা সময় ছিল বহু পাড়ায়, বাড়ির ছাদে পিকনিক হত। তবে এখন আবার অনেকেই যান পার্ক স্ট্রিটে। রাতের খাওয়াটা রেস্তোরাঁতেই করেন। কেউ যান পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে, কেউ আবার বন্ধুবান্ধব, প্রেমিকার হাত ধরে।
আর সেই ভিড়ের একটা বড় অংশ যায় রেস্তোরাঁতে। এবার পুলিশের তরফে একটি বিশেষ লেন দিয়ে হাঁটার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর জেরে আরও সুবিধা হয়েছে আমোদপ্রিয় জনতার। হই হুল্লোড় হয়েছে তবে একেবারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এর জেরে ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি। কারণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে হোটেল, রেস্তরাঁতে ভিড় কমতে থাকে। তবে এবার তেমনটা হয়নি।