তাঁর বিতর্কিত টুইটের দায় ঝাড়লেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। শনিবার রাতে করা এক টুইটে তিনি দাবি করেছেন, ২০১৫ সালে ওই টুইট তাঁর অগোচরে করা হয়েছিল।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন শোয়ে অংশগ্রহণ করে নিজের কাছে বাঙালিয়ানার রুপ নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন সায়নী। এতেই বিতর্ক বাঁধে। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরু বিরোধিতার অভিযোগ ওঠে সোশ্যাল সাইটে। প্রকাশ্যে আসে সায়নীর করা একটি টুইট। সায়নীর টুইট করা ওই ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যাচ্ছে শিবলিঙ্গের মাথায় কন্ডোম পরাচ্ছেন বুলা দি নামে একটি চরিত্র। এতে নিজেদের ধর্মীয় ভাবাবেগ আহত হয়েছে বলে জানান কিছু মানুষ।
সেই টুইটের দায় অস্বীকার করে সায়নী জোড়া টুইট করেছেন। প্রথম টুইটে তিনি লিখেছেন, আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল। ফের তার নিয়ন্ত্রণ আমি ফিরে পাই। কিন্তু ২০১৭ সালের পরেই তা করা সম্ভব হয়েছিল। অবাঞ্ছিত অধিকাংশ পোস্ট আমি ডিলিট করে দিয়েছি।
এর পর পোস্টে সায়নী রোমান হরফে বাংলায় লেখেন, ‘আমি আগেই বলেছি যে ২০১৫ সালের টুইটটির বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না এবং যে মুহূর্তে সেটি আমা নজরে আনা হয় আমি সেটার তীব্র নিন্দা করে সবাইকে জানিয়ে ডিলিট করি। আমার নিজের ধর্মকে আঘাত করার কোনও ইচ্ছা আমার কোনওদিন ছিল না। আমি সব সময় নিজের বক্তব্য রেখেছি এবং নিজের জায়গা থেকে নড়িনি.. তবে আজকে এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে যে বিদ্বেষের সম্মুখীন আমায় হতে হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঈশ্বর (যিনি আপনারও, আমারও) এবং বাংলার ও দেশের মানুষের ওপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ভাল থাকবেন সবাই।’
তবে সায়নীর সাফাইয়ের পর বিতর্ক থামে কি না এখন সেটাই দেখার।