কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ। বাড়ানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সংখ্যাও।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশে বসছে অ্যালমুনিয়ামের শিটের প্রাচীর। সেইসঙ্গে ওয়াচ টাওয়ারও তৈরি হচ্ছে। এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পিছন দিকে কনক্রিটের দেওয়াল ছিল। এবার থেকে সেই কনক্রিটের দেওয়ালের পাশাপাশি ১৩ থেকে ১৪ ফুট অ্যালমুনিয়ামের শিট দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। অ্যালমুনিয়ামের শিটের প্রাচীর সহজে কেউ টপকাতে পারবে না, এই ভেবেই নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওপরে নজর রাখার জন্য দুটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। একটি থাকবে আলিপুর জেল সংলগ্ন এলাকায়। অন্যটি থাকবে আদি গঙ্গা লাগোয়া বলরাম ঘাটের দিকে। ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি সিসিটিভি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি শিফটে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ৩০ জন পুলিশ কর্মী থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশাপাশি নবান্নেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গত শনিবার রাতে নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েন হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লা। সারা রাত সে একটি লোহার রড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির প্রাঙ্গণেই ছিলেন। পরদিন ভোরবেলা শিফট চেঞ্জের পর নিরাপত্তারক্ষীরা যখন টহল দিতে আসেন, তখন হাফিজুলকে দেখতে পান এক নিরাপত্তারক্ষী। তাঁকে ধরেও ফেলেন। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘনিষ্ঠ মহলে এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নিজের নিরাপত্তা থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি।