বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরেই বিধানসভায় চালু হয়েছিল বিধায়কদের সই করে ঢোকা ও বেরনোর নিয়ম। কিন্তু, তাতেও অবস্থার বিশেষ বদল হয়নি। বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকলেন শাসক দলের একাধিক বিধায়ক। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হলেন বিধানসভার স্পিকার তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে এদিন বেশ কয়েকজনকে ভর্ৎসনা করেন স্পিকার। এমনকী দলের চিফ হুইপকেও ব্যবস্থা নিতে বলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার, বিধানসভাতেই বিজয়োৎসব করবে BJP
সোমবার সকাল ১১টার মধ্যেই বিধানসভায় চলে এসেছিলেন চলে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু, প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই দেখা দেয় বিপত্তি। তখনও অনুপস্থিত থাকেন শাসক দলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক। যার মধ্যে মোশারফ হোসেন, বিবেক গুপ্তা সহ অনেকেই ছিলেন। বিধায়কদের অনুপস্থিত থাকতে দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন স্পিকার। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিরোধীরা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু আপনারা শাসক দলের বিধায়ক। প্রশ্নোত্তর পর্বে আপনাদের না থাকলে কি করে চলবে?’ এরপর এই স্পিকারকে বলতে শোনা যায়, ’ আপনারা অধিবেশন কক্ষে আসছেন না এতবার বলেও আপনারা শুনছেন না।’ উল্লেখ্য, প্রশ্নোত্তর পর্বে শাসকদলের বিধায়কদের অনুপস্থিতি এই প্রথম নয়। এর আগেও বহু সময়ে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে বিধায়কদের। গত সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। তা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্পিকার। তিনি তখন মন্তব্য করেছিলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক’। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসে আগেই থেকেই বিধায়কদের বিধানসভায় উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার এবং আগামীকাল বুধবার বিধানসভার অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায় সংহিতা নিয়ে নতুন বিলের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার। মূলত সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব আনছে শাসক দল। তা নিয়েই দুদিন বিধানসভায় আলোচনা হবে। এদিকে, বিধানসভা শীতকালীন অধিবেশনের মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার এই অধিবেশনের মেয়াদ শেষ হবে।