মনে করিয়ে দিল মেট্রো। মোমিনপুর স্টেশনের জন্য কিন্তু রাজ্য সরকারই জমি দিতে চেয়েছিল। বডিগার্ডস লাইন্সের জমির কিচু অংশকে ব্যবহার করে মোমিনপুর স্টেশন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় রাজ্য প্রশাসনের কর্তারাই এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এতদিন পরে সেই কথা মনে করিয়ে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আসলে বডিগার্ড লাইন্সের জমি নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কিন্তু মেট্রো মনে করাচ্ছে এই লাইনের জন্য় জমি দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকারই। সেই সময় যাবতীয় জটিলতার অবসান ঘটাতে এগিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকারই। এবারও একই ভাবে যাবতীয় জটিলতার অবসান ঘটানো হোক এটা চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারণ রাজ্য় সরকার সর্বক্ষেত্রে সহায়তা না করলে আখেরে সমস্যা হবে মেট্রোরই। সমস্যা হবে সাধারণ মানুষেরই। সেই নিরিখে এবার পুরানো কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন মেট্রোর একাংশ।
আসলে জোকা থেকে মাঝেরহাট এই রুটে মেট্রোর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু মোমিনপুর থেকে এই মেট্রো সুরঙ্গপথে ঢুকে যাবে। সুরঙ্গ তৈরি করার জন্য টানেল বোরিং মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য সেন্ট টমাস স্কুলের জমি ব্যবহার করা হবে। এমনকী মোমিনপুর স্টেশনের অনেকটা অংশই তার মধ্য়ে পড়ছে। তবে আলিপুর বডিগার্ডস লাইন্সের মাত্র ১০৯২ বর্গমিটার জমি এর মধ্যে পড়ছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে একাধিকবার বৈঠক হয়েছিল। ২০২২ সালেও বৈঠক হয়েছিল। সেই মতো পুলিশ মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের মধ্য়েও বৈঠক হয়েছিল। খবর আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে। একাধিকবার এনিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এরপর স্থির করা হয়েছিল, সশস্ত্র পুলিশের কয়েকটি ব্যারাক ও সুইপার ব্যারাক ভেঙে সেখানে সাত ও বারোতলা দুটি বহুতল নির্মাণ করা হবে। তিন নম্বর ব্যারাক ভেঙে বহুতলের জন্য় প্রয়োজনীয় জায়গা বের করা হবে।
আসলে মোমিনপুর স্টেশনের জন্য় জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্য়া দেখা দিয়েছিল। সেই সংকটের সময় কিন্তু ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রাজ্য সরকারকেই। সেই সময় দেখা গিয়েছিল, বডিগার্ড লাইন্সের জমিতে মোমিনপুর স্টেশন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। সেকথাই মনে করাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।