শান্ত স্বভাবের গৃহবধূ শুভ্রা ঘড়ুই রেগে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো ছুড়েছিলেন। পাড়ার লোকেরা বলছেন এই গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবার খুবই শান্ত প্রকৃতির। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চটি ছুড়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ইএসআই হাসপাতালে। আর এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে এখন এই গৃহবধূ নিরাপত্তাহীনতা এবং ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। যদিও বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান তথা রাজ্যে সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য শুভ্রাকে ‘প্রকৃত মহিষাসুরমর্দিনী’ বলে উল্লেখ করেছেন টুইটারে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? শুভ্রার স্বামী সমীর ঘড়ুই সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁদেরকে নিজেদের মতো থাকতে দেওয়া হোক। তাঁর মেয়ের পড়াশোনার জন্য টাকার প্রয়োজন। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। শুভ্রা জুতো ছোড়ার পর বলেন, ‘জুতোটা ওঁর টাকে লাগলে শান্তি পেতাম।’ আর এই ঘটনাকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি প্রতিরোধের প্রতীক বলে বর্ণনা করে অমিত মালব্য দাবি করেন, ‘উনিই প্রকৃত মহিষাসুরমর্দিনী, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যূত করবেন।’
ঠিক কী বলেছেন স্বামী সমীর ঘড়ুই? এই ঘটনা নিয়ে সমীরবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দুই মেয়ে সৌমী এবং কণা। বড় মেয়ে সৌমী এবার স্নাতকে ভর্তি হবে। ছোট মেয়ে কণা পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। প্লাইউড কারখানায় কাজ করে মাসে যা আয় তাতে খুব ভালো করে এই বাজারে চারজনের সংসার চালানো কঠিন। সেখানে মেয়েদের পড়াশোনায় যাতে খামতি না পড়ে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে মা শুভ্রা। স্নায়ুর রোগেও ভুগছেন শুভ্রা। তার সঙ্গে দাঁতের যন্ত্রণা। সেখানে ওষুধ নিতে গিয়ে পাননি। তখনই রেগে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শুভ্রা। পার্থকে দেখা মাত্রই তিনি নিজের পা থেকে দু’পাটি চটি খুলে ছুড়ে মারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে। যদিও পার্থ গাড়িতে থাকায় তা গায়ে লাগেনি। গাড়িতে লেগেছে। জুতো ছুড়ে তারপর খালি পায়েই নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন শুভ্রা। যদিও এমন আচরণ এই প্রথম বলে পরিবার সূত্রে খবর।