নোয়াপাড়া পেরিয়ে বরাহনগর স্টেশনে যখন মেট্রো দাঁড়ায় তখন মেট্রো রেকের দরজা খোলে। তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা স্টেশনেই তুমুল চেঁচামিচি শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে বরাহনগর মেট্রো স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌড়চন্দ্র আধিকারিকের কাছে বিক্ষোভকারী যাত্রীরা অভিযোগপত্র জমা দেন।
কলকাতা মেট্রোতে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে গেল। আর তার জেরে আতঙ্কে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে এবার যান্ত্রিক গোলযোগ বা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার রাতের মেট্রো মদ্যপ অবস্থায় চালালেন চালক। এই অভিযোগ সামনে আসতেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। মঙ্গলবার রাতে নোয়াপাড়া স্টেশন এসে গেলেও না মেট্রো দাঁড়াল, না তার দরজা খুলল।
তারপর ঠিক কী ঘটল? নোয়াপাড়া পেরিয়ে বরাহনগর স্টেশনে যখন মেট্রো দাঁড়ায় তখন মেট্রো রেকের দরজা খোলে। তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা স্টেশনেই তুমুল চেঁচামিচি শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে বরাহনগর মেট্রো স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌড়চন্দ্র আধিকারিকের কাছে বিক্ষোভকারী যাত্রীরা অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনাস্থলে আরপিএফ পৌঁছলে তাঁদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা। কী করে মদ্যপ অবস্থায় মেট্রো চালালেন ওই চালক? প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। বিক্ষোভ সামলানোর চেষ্টা চলে। তবে ওই চালক মদ খেয়ে ট্রেন চালাচ্ছিলেন কিনা তার এখনও সঠিক প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৫ মিনিট আপ লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল।