নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের পদস্থ কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় কালীঘাটের কাকু বলে পরিচিত সুজয়কৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল তারা। ১২৬ পাতার চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওদিকে এদিন নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন কালীঘাটের কাকু।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ PMLA আদালতে সুজয়কৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিট পেশ করে ইডি। সঙ্গে পেশ হয়েছে প্রায় ৭০০০ পাতার নথি। ট্রাঙ্কে করে কাগজ এনে আদালতে জমা দেন ইডির আধিকারিকরা। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দায়ের হল চার্জশিট।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে সুজয়কৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে নিয়োগদুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি মোট ২০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন বলে দাবি করেছে ইডি। কাকু ছাড়াও তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ২ সংস্থার নাম রয়েছে চার্জশিটে। এছাড়া শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কী করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।
বলে রাখি, বৃহস্পতিবারই কালীঘাটের কাকুর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। সম্প্রতি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে বাধা ধরা পড়েছে বলে জানান চিকিৎসকা। তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি করাতে হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সেকথা জানিয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জানান, বাংলার গর্ব SSKM। সেখানে চিকিৎসা করান। বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কালীঘাটের কাকু। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই তাঁকে অর্ন্তর্বতী জামিন দিক আদালত।