গরুপাচারের চার্জশিটে তৃণমূলের নেতাদের কাছে বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পৌঁছত বলে দাবি করেছে সিবিআই। আর সেকথা জেনে আরও বড় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতারা জঙ্গি গোষ্ঠীদের আর্থিক মদত করছে।’
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘শুধু হাওয়ালা নয়, তদন্তে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীদের সঙ্গে এদের যোগ পাওয়া গেলেও আমি আশ্চর্য হব না। এরা সবাই মিলে পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে নিজেদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়ানোর জন্য’।
তাঁর আশঙ্কা, ‘জেএমবি থেকে শুরু করে বাংলাদেশে ISI-এর মদতপুষ্ট যে সব জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে সবার সঙ্গে হয়তো এদের যোগাযোগ পাওয়া যেতে পারে’।
শুক্রবার আসানসোল আদালতে গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। তাতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে গরুপাচারের প্রোটেকশন মানি পৌঁছত অনুব্রতর কাছে। সেই টাকায় বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। একই ভাবে টাকা পৌঁছেছে রাজ্যের একাধিক পুলিশ কর্তা ও বিএসএফ আধিকারিকদের কাছে।
দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামি মৌলবাদীদের যোগাযোগের অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। সারদাকাণ্ডের পর জানা যায় তৃণমূলের এক রাজ্য সভার সাংসদের মাধ্যমে বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী JMB-র কাছে পৌঁছেছে বিপুল পরিমাণ টাকা।