আগামী বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে। কার্শিয়াংয়ে বিয়ের আসর। পাহাড়ের কন্যার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে এবং পেশায় চিকিৎসক। সেই চিকিৎসক ভাইপোর বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পরে নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী ‘রাষ্ট্রবিরোধী’, রাজ্য সঙ্গীত চালু করা প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর
তাঁর দাবি, এই অনুষ্ঠানের এরজন্য ইতিমধ্যে চিকিৎসক মোতায়ন করা হয়েছে। কিন্তু, সেই এলাহী আয়োজনের মধ্যেও চিকিৎসকদের নিম্নমানের খাবার এবং শয্যা সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। চিকিৎসকদের দেওয়া খাবারকে ‘মিড ডে মিলের’ খাবার বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।
নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, সপ্তাহব্যাপী এই রাজ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত ওই জায়গায় কার্শিয়াং হাসপাতালের ২৮জন চিকিৎসক, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত ও রাত থেকে সকাল দুই শিফটে ডিউটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ২৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে হাসপাতালের দুই শিফটে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের রাজ্য সরকারের তরফে যে খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘হুকুম তামিল করতে যাওয়া 'রাজবৈদ্যদের' নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে 'মিড-ডে মিল' পরিবেশন করা হয়েছে তার ছবি দেখে আপনারাই বিবেচনা করুন যে এলাহী আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ’হে মোর দুর্ভাগা রাজ্য, যাদের করিতেছো অপমান, অপমানিত হতে হবে তোমাদেরও, সব দিন কাহারও যায় না সমান !’ নিজের পোস্টে চিকিৎসকদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেই ছবিও শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।