আইন প্রণেতা শুভেন্দু অধিকারীর কি আস্থা নেই আইনেই? বৃহস্পতিবার বিধানসভা চত্বরে তাঁর করা মন্তব্যে এই প্রশ্ন উঠছে। এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তদের পুলিশকে দিয়ে এনকাউন্টার করানো উচিত। আইন প্রণেতা হয়ে কী ভাবে তিনি পুলিশকে আইন হাতে তুলে নিতে বলতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিন বিধানসভায় মাটিগাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত আব্বাসের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ দেখিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। এর পর শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে নাবালিকারাও সুরক্ষিত নয়। তিনি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে একের পর এক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আর মানুষের চোখে ধুলো দিতে পুলিশ অভিযুক্তদের শুধু গ্রেফতার করে। তার পর তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয় না আর শাস্তির ব্যবস্থাও করে না’।
এদিন তিনি হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ ও মাটিগাড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘হাঁসখালি থেকে শুরু করে রাজ্যে কোথাও নাবালিকা নির্যাতনে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়নি। আমরা ফাঁসি চাই। এই ধরণের নরকের কীটদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। কালিয়াগঞ্জে অভিযুক্ত জাভেদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে মাটিগাড়ার ঘটনা ঘটত না। উলটে আপনার পুলিশ অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বুকে গুলি করালেন।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ খুনিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ জির মতো যদি কেউ এদেরকে প্রয়োজন হলে এনকাউন্টার করা উচিত। এদের থাকা উচিত না সমাজে। এই সব ঘৃণিত জীব, পাষণ্ড। এদের কোনও হুঁশ নেই।’
সোমবার শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর স্কুলের পোশাক পরা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার রাতেই মাটিগাড়ার লেনিন পল্লি থেকে আব্বাস নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।