ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কয়েকজন কর্তাও জেলে আছেন। এমনকী পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যও এখন জেলে। আরও কয়েকজনকে ডাকাডাকি চলছে। এই পরিস্থিতিতে সুর চড়াচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার যাদবপুরের বিজয়গড়ে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পরিণতির কথা জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আর তখন থেকেই শুরু হয় নেপথ্যে কারণ খোঁজা। যা বিরাট চক্রান্তের বার্তা বয়ে আনছে।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? যাদবপুরে বিজেপির এক নম্বর মণ্ডল আয়োজিত কালীপুজোর উদ্বোধন করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘কালীপুজোয় মায়ের কাছে অনুরোধ করব ২০২৩ সালে যেন আমরা চোরমুক্ত বাংলা দেখতে পাই। দেখুন না কী হয়! ডিসেম্বর মাসেই এই সরকার ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে।’ একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার কী তাহলে ফেলে দেওয়া হবে? কীভাবে সেটা সম্ভব? আরও বিধায়ক কী জেলে যাবেন? এই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
কেন এমন বলছেন বিরোধী দলনেতা? সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আর্থিক দেউলিয়া সরকার ঘোষণা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে এই সরকার আর ঋণ নিতে পারবে না। তার জেরে বিরাট চাপে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। শুভেন্দুর কথা মতো লেম অ্যান্ড ডাক হয়ে যাবে। তখনই এই সরকারকে ফেলা সহজ হয়ে যাবে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া রেখে দিয়েছে রাজ্যের বহু কোটি টাকা। যার জন্য বারবার তদ্বির করছে নবান্ন। এই গোটা পরিকল্পনাটি জানেন বিজেপির কয়েকজন মাত্র নেতা। যার জন্যই শুভেন্দু অধিকারী এই সরকার ডিসেম্বর মাসেই ল্যাম্প পোস্ট হয়ে যাবে বলছেন। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।
উল্লেখ্য, ইজেডসিসিতে বিজেপির প্রদেশ মোর্চার বৈঠকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ইডির রিপোর্ট রাজ্যের নেতাদের দুর্নীতি স্পষ্ট। দুর্গাপুজোর আগে ১ কুইন্টালরা জেলে গিয়েছে। কালীপুজোর আগে ১ কুইন্টালের নীচে যারা তারা জেলে গিয়েছে। দেওয়ালির পর সব যাবে। জামাই পালিয়েছে আমেরিকা। শালীকেও আমেরিকা যেতে হবে। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এইসব চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
আর এখন কী বলছেন শুভেন্দু? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসের পরে এই সরকারটা সরকার হিসেবে থাকবে না। মর্নিং শোজ দ্যা ডে। দেখতে পাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ বঞ্চিত প্রার্থীরা করুণাময়ীর সামনে লাগাতার অবস্থান করছেন। সরকার চলে গিয়েছে কোর্টে। অবস্থানকারী চাকরিপ্রার্থীদের তোলার জন্য সরকার কোর্টে চলে গিয়েছে। যে সরকারে কোনও ক্ষমতা থাকে না সে কোর্টে চলে যায়। ডিসেম্বরের আগেই এই সরকার দুর্বল সরকারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।’