প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে এবার বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে। সূত্রের খবর, অন্তত ৪৪জন প্রার্থী শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার জন্য ৭ লাখ টাকা করে যুব তৃণমূল নেতাকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে মঙ্গলবারই তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত ইতিমধ্যেই তাকে ১৪দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। আর তার মধ্যেই এবার ইডির হাতে বিস্ফোরক তথ্য।
এদিকে রিমান্ডে নেওয়ার আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল গত ২২ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি চিঠি পেয়েছিল ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির সেই রিমান্ড অ্য়াপলিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে অন্তত ৪৪জন প্রার্থীর কাছ থেকে মাথাপিছু ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। আর এটাও দেখা গিয়েছে যে রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে এই টাকা তোলা হয়েছিল।
এমনকী ওই একই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাঠানো হয়েছিল বলে ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছে। এদিকে ইডি দেখছে মানিকের জমানায় অন্তত ৫৮,০০০ প্রার্থী শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। তার মধ্যে কতজন অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন সেটাই দেখার।
এদিকে তদন্তে নেমে ইডি দেখছে মানিকের ছেলের কোম্পানি অন্তত ২.৬ কোটি টাকা পেয়েছে প্রায় ৩৫০টি বেসরকারি সংস্থা থেকে। এই সংস্থার মাধ্যমেই বিএড ও ডিএলএড পড়ানো হত। এখানেও দুর্নীতির আভাস পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সেক্ষেত্রে এখনই কোনও মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না।